সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, জিপি ট্যাক্স কালেক্টরের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা

নিপ্পু লস্কর, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ২০  জুলাই : অসম সরকারের ডিরেক্ট রিক্রুটমেন্ট এক্সামিনেশন (ADRE)-এর অধীনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ভাউরিকান্দি জিপির নতুন কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা ও ট্যাক্স কালেক্টর আতাউর রহমান আহমেদের বিরুদ্ধে কচুদরম থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সর্বস্বান্ত হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের আশায় প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, আতাউর রহমান আহমেদ ৫জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে যথাক্রমে ১৫ লক্ষ ও ১২ লক্ষ টাকা অনলাইনে এবং নগদভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এমপ্লয়ি আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়ার নামেও তিনি অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পর, একদিন অভিযুক্ত আতাউর রহমান তাদের কাছাড়ের জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার সংগ্রহের কথা বলে বাড়ি থেকে বের করেন। তিনি জানান, তিনি অন্য একটি গাড়িতে আসছেন এবং তাদের জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ের দিকে যেতে বলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর, আতাউর রহমান ফোন করে প্রতারিত পরিবারগুলোকে জানান তার পেছনে সিবিআই লেগেছে এবং অচেনা নম্বর থেকে কোনও কল এলে যেন তারা রিসিভ না করে। এই কথা বলে তিনি তাদের ফিরিয়ে দেন। তখনই চাকরিপ্রার্থীরা বুঝতে পারেন যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরপর টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বারবার যোগাযোগ করা হলেও আতাউর রহমান বিভিন্ন টালবাহানা করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও মাতব্বরদের নিয়ে সালিশ সভার মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও আতাউর সেখানেও অজুহাত দেখিয়ে সভা ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ।

উপায়ান্তর না পেয়ে, প্রতারণার শিকার দু’টি পরিবার কচুদরম থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে। অসহায় পরিবারগুলো সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কাছাড়ের সিনিয়র পুলিশসুপার এবং জেলা আয়ুক্তের শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।

Spread the News
error: Content is protected !!