ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব অসম- মিজোরাম সীমান্ত এলাকায়
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুলাই : ট্রেড ইউনিয়ন ও সংযুক্ত কিষান মোর্চার আহ্বানে সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে অসম- মিজোরাম সীমান্ত এলাকায় লায়লাপুরে। বুধবার সিটু অন্তর্ভুক্ত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের লায়লাপুর আঞ্চলিক কমিটির ও সারা ভারত কৃষক সভার বাম -ধলাই আঞ্চলিক কমিটির শতাধিক কর্মী ব্যানার, ফ্ল্যাগ হাতে নিয়ে ৩০৬ নং শিলচর –
আইজল জাতীয় সড়ক সকাল পাঁচ থেকে অবরোধ করে রাখেন। মিজোরাম ও শিলচরগামী গাড়ি গুলো লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথম দিকে ধলাই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পিকেটারদের রাস্তা অবরোধ মুক্ত করতে চাপ সৃষ্টি করেন। পরে কৃষক সভার কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি রেজামন্দ আলও বড়ভূইয়ার নেতৃত্বে শতাধিক কর্মীরা ১৭ দফা দাবিতে শ্লোগানে মুখরিত করে জাতীয় সড়কে মিছিল করেন।
এ অবস্থা চলাকালীন সময়ে আনুমানিক সকাল ১০-৩০ টায় শিলচর থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনা স্থলে এসে পিকেটারদেরকে সংগে সাক্ষাৎ করেন। রেজামন্দ আলি বড়ভূইয়া ধর্মঘটের ১৭ দফা দাবিগুলো বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনার সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন লায়লা পুর এলাকা হচ্ছে আসাম- মিজোরাম দুটি রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং বনবিভাগের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভূমিহীন, দিনমজুর লোক একদিকে যেমন বসবাস করে আসছেন আর অপরদিকে মিজো আগ্ৰাসন থেকে আসামের জমি রক্ষা করে আসছেন।তাই দখলদার লোকদেরকে তাদের দখলীয় জমিতে বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। লায়লা পুর পুলিশ আউট পোস্ট টিকরীতে স্থানান্তরিত না করে অন্যত্র স্থাপন করার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।কারণ এই টিকরী টিলার জমি একসময়ে বিআরটিএফের জমি ছিল এবং পরবর্তীতে দিন মজুর, গরীব ১৪টি পরিবার প্রায় ৬০ বছর ধরে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। ছোট বড় মিলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় ৮০ জন লোক শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করছেন। তাদের বিকল্প কোন জমি নেই। এ অবস্থায় তাদের দখলীয় জমিতে আউট পোস্ট স্থাপন করা হলে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে,যা হবে অমানবিক। সমস্যাদি উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা কর্তৃপক্ষ অবহিত হয়ে আশ্বাস দেন তিনি জেলা উপায়ুক্তের কাছে সমস্যা গুলো তুলে ধরবেন ও সমাধানে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন।পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সড়কের শোচনীয় অবস্থা বিবেচনা করে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক দুপুর ১২টায় পিকেটাররা অবরোধ মুক্ত করে দেন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বড়ভূইয়া অবরোধকে সফল করার জন্য পিকেটার ও এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও দাবি আদায়ের জন্য আগামীদিনে শক্তিশালী আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।