শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমে গুরুপূর্ণিমা উৎসব

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুলাই : অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও বৃহস্পতিবার শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত শ্রী শ্রী ভোলাগিরি আশ্রমে গুরুপূর্ণিমা উৎসব নানান সনাতনী ধর্মীয় নীতি ও নিয়ম মেনে পালন করা হয়। এদিন ব্রহ্মমুহূর্তে গুরু বন্দনা, আরতি,গুরুর সমবেত প্রার্থনা, গুরুর পূজার্চনা সহ আরো অন্যান্য সনাতনী ধর্মীয় কার্যক্রম পালন সহ দুপুর একটা থেকে উপস্থিত ভক্তৃন্দদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এদিন ভোলাগিরি আশ্রমের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, হিন্দুধর্ম অনুসারে মহর্ষি বেদব্যাসকে আদিগুরু বলা হয়ে থাকে। আষাঢ় পূর্ণিমা তিথিতেই তাঁর জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। সেই কারণে এই পূর্ণিমা তিথি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। গুরুপূর্ণিমাকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। মহর্ষি বেদব্যাস কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন নামেও পরিচিত। বৈদিক জ্ঞানকে তিনিই ঋগবেদ, সামবেদ, যর্জুবেদ ও অথর্ববেদের চারটি খণ্ডে পুঁথিবদ্ধ করেন,মহাভারতের রচয়িতাও তিনি।হিন্দুধর্ম ছাড়া বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মেও গুরুপূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। ভারত, নেপাল ও অন্য বৌদ্ধ দেশগুলিতে গুরুপূর্ণিমা পালিত হয়। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দের অর্থ অন্ধকার এবং ‘রু’ শব্দের অর্থ দূর করা। অর্থাৎ যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করেন, তিনিই প্রকৃত গুরু। গুরু আমাদের আত্ম উপলব্ধি করতে সাহায্য সাহায্য করেন। তাই গুরুপূর্ণিমা আসলে নিজেকে চেনার দিন। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজীব চক্রবর্তী, পঙ্কজ দে, সৌমেন দত্ত রায়, ভোলানাথ চৌধুরী প্রমুখ।

Author

Spread the News