বগীবাড়িতে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের উপস্থিতিতে জাতীয় মৎস্য দিবস উদযাপন
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুলাই : মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু উপস্থিতিতে জাতীয় মৎস্য দিবস উদযাপিত হল কামরূপের বগীবাড়িতে মাছচাষীদের গৌরবকে সম্মান জানিয়ে উদ্দীপ্ত গোটা অঞ্চল। মাছচাষীদের সম্মানে বর্ণিল আয়োজন, স্বপ্ন দেখাল আত্মনির্ভর অসমের।রাজ্যে সরকারেএ মৎস্য বিভাগ মাছচাষকে কৃষি অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরতে এবং মাছচাষীদের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার উদযাপিত হল জাতীয় মাছচাষী দিবস।
মাছচাষীদের সম্মানে বর্ণিল আয়োজন, স্বপ্ন দেখাল আত্মনির্ভর অসম_____

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মাছচাষীদের সম্মানে, রাজ্য মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় কামরূপ (মেট্রো)-র বগীবাড়িতে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অসম সরকারের মৎস্য বিভাগীয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। সকাল থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এই আয়োজন ছিল তথ্য ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ, সংস্কৃতিমূলক পরিবেশে গাঁথা। রাজ্যের প্রখ্যাত মাছচাষী, গবেষক, সরকারি আধিকারিক, নীতিনির্ধারক ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায় রূপ নেয়।অনুষ্ঠানের মূল দিকগুলোতে মধ্যে ছিল উল্লেখযোগ্য মাছচাষীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নির্বাচিত কৃতী মাছচাষীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। প্রযুক্তি কর্মশালা আধুনিক মাছচাষ পদ্ধতি, জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার, জলাধার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

প্রদর্শনী মাছচাষের নতুন যন্ত্রপাতি, জলজ সম্পদের সংরক্ষণ পদ্ধতি ও সরকারি প্রকল্পের দৃষ্টান্তসমূহ প্রদর্শিত হয়।অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি বিভাগীয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল তাঁর বক্তব্যে সুরুতেই গোটা রাজ্যের জনগণের পক্ষ থেকে মৎস্য পালন দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানিয়ে বলেন আজ মাছচাষ কেবল পেশা নয় এটি আমাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক।রাজ্যের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বজায় রাখতে মাছচাষীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। রাজ্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার গতিশীল নেতৃত্বে অসমে মৎস্য খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনার ফলেই মাছচাষে এখন নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বেড়েছে।তিনি জানান, খুব শিগগিরই রাজ্যে চালু হতে চলেছে একাধিক নতুন প্রকল্প যা মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, মাছচাষীদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারসংযোগ সহজ করতে সহায়ক হবে। এর পাশাপাশি মাছচাষীদের আর্থিক সহায়তা, আধুনিক প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

অনুষ্ঠানের শেষে মাছচাষীদের উদ্দেশে বিভাগীয় তরফ থেকে একটি প্রেরণামূলক বার্তা দিয়ে জানানো হয় মৎস্যই জীবিকা, মৎস্যই গর্ব মাছচাষেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভর অসম। মৎস্যই জীবিকা, মৎস্যই গর্ব — মাছচাষেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভর অসম। এক অভিজ্ঞ মাছচাষী বলেন, আমরা সত্যিই গর্বিত যে রাজ্য সরকার আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোগতাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকের এই সম্মান আমাদের আগামীর পথে আরও উৎসাহ জোগাবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে স্পষ্ট যে অসমের মাছচাষ আজ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শক্তি নয়, এটি রাজ্যের সামাজিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম বাহক হয়ে উঠেছে। বগীবাড়ি থেকে উঠে এসেছে এক স্পষ্ট বার্তা ‘আত্মনির্ভর অসম’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাছচাষীরা হচ্ছেন প্রকৃত কারিগর। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক অতুল বরা সহ বিভাগীয় বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।