শরিফনগরের কঙ্কালসার সড়কে জনদুর্ভোগ, আশার বাণী শুনালেন বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা ইকবাল

মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৮ জুলাই : শরিফনগর বাজার থেকে কাঁকড়া নদীর উপর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন তেমাতা পর্যন্ত যে পূর্ত সড়কটি এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে অবহেলা আর উন্নয়নের অভাবে রাস্তার চেহারা কঙ্কালরূপ নিয়েছে। বর্ষার জলে ঢাকা অসংখ্য গর্ত যেন এলাকাবাসীর জন্য প্রতিদিনই এক অজানা বিপদের বার্তা বয়ে আনছে।

গত প্রায় দুই বছর ধরে শ্রীভূমি জেলা সদরের লাগোয়া বর্তমান দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভার কেন্দ্রের আওতাধীন শরিফনগর বাজার থেকে পশ্চিম প্রান্তের কাঁকড়া নদীর উপর নির্মিত নতুন সেতুর সংলগ্ন তেমাতা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ত সড়কের বেহাল দশা যেন এখন এলাকাবাসীর নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। এক সময় যে রাস্তাটি দিয়ে দৈনন্দিন যাতায়াত ছিল নির্বিঘ্ন, আজ তা শুধুই এক বিপজ্জনক কঙ্কালসার কাঠামোতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার সংশ্লিষ্ট পূর্ত বিভাগে অভিযোগ জানালেও আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। শুধু পূর্ত বিভাগই নয়, নীরবতা বজায় রেখেছেন জনপ্রতিনিধিরাও। ফলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে হতাশা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।

এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার জেলা বিজেপির মাইনোরিটি সেলের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনকে পথের মধ্যে আটকে ধরেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁরা একত্রিত হয়ে সরাসরি ইকবাল হোসেনকে রাস্তার বেহাল চিত্র দেখান এবং অনতিবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে জোরালো আর্জি জানান। এই সময় উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, আপনারা এলাকার রাস্তার বর্তমান চিত্রসহ একটি বিস্তারিত স্মারকপত্র তৈরি করে স্বাক্ষর সংগ্রহ করুন। আমি আপনাদের সঙ্গেই পূর্ত দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে সেটি পৌঁছে দিয়ে এই রাস্তার উন্নয়নের দাবি জানাব।

এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনিও যেন এই সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে উদ্যোগ নেন, সে বিষয়েও আমি সরাসরি দাবি জানাব।তিনি আরও বলেন, “এটা শুধুমাত্র একটি রাস্তার সংস্কার নয়, এটা একটি জনস্বার্থের প্রশ্ন। আপনারা আশাবাদী থাকুন, আমি নিজে এই ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব।উক্ত ঘটনার সময় গ্রামের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মইন উদ্দিন, কবির উদ্দিন, মন্তোষ শুক্লবৈদ্য, মকবুল আলি, ফখর উদ্দিন, মুতলিব আলি, কামাল উদ্দিন, রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ।

Author

Spread the News