ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহার কি বেটি’ সম্মোধন মোদির

৪ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরে গিয়ে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহার কি বেটি” (বিহারের কন্যা) বলে সম্বোধন করেছেন। ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি একথা জানান যে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীর পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন এবং তিনি(কমলা প্রসাদ-বিসেসর) নিজেও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন।

মোদি বলেন, “আমরা কেবল রক্ত বা পদবীর দ্বারা সংযুক্ত নই, আমরা আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে এবং আপনাদের স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী কমলার পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি সেই স্থান পরিদর্শনও করেছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের কন্যা বলেই মনে করে।” তিনি আরও বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারত এবং বিশ্বের গর্ব। বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। ২১ শতকেও বিহার থেকে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।”

উল্লেখ্য, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৮৭ সালে। তিনি ক্যারিবীয় দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলও বটে। এর পাশাপাশি তিনি ভারত ও বৃহত্তর উপমহাদেশের বাইরে প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহার কি বেটি’ সম্মোধন মোদির

মোদি ২৫ বছর আগে তাঁর সফরের কথা স্মরণ করে এদিন বলেন, ‘সেই থেকে ক্যারিবীয় দেশ এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, “নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি এবং জন্মাষ্টমী এখানে আনন্দ, উৎসাহ এবং গর্বের সঙ্গে পালিত হয়। চওতাল এবং বৈঠক গান এখানে এখনও টিকে আছে। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখের উষ্ণতা খুঁজে পাচ্ছি।”

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহার কি বেটি’ সম্মোধন মোদির

প্রসঙ্গত, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বাস করেন। এদের মধ্যে ১,৮০০ জন অনাবাসী ভারতীয় (NRI), বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক হিসাবে ভারত থেকে ওখানে গিয়েছিলেন। ভারতের যোধপুরের চেয়েও ছোট একটি দেশ এই ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর প্রভাব তাঁদের খাদ্য, সঙ্গীত, ভাষা এবং ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘোষণা করেছেন যে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসীদের ৬ষ্ঠ প্রজন্ম পর্যন্ত ওসিআই (Overseas Citizen of India) কার্ড দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, ৩৮ জন মন্ত্রী এবং চারজন সাংসদ তাঁকে পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয় মোদিকে।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহার কি বেটি’ সম্মোধন মোদির

Author

Spread the News