শ্রীভূমির তিন চিকিৎসককে ‘ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় স্মারক সন্মান’ দিল খুশি
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুলাই : তিনি শুধু চিকিৎসা নয় মানবসেবায় বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছেন। তার সৃষ্টি ও চিকিৎসাকে স্মরণী করে রাখতে প্রতি বছর এক জুলাই দিনটি জাতীয় চিকিৎসা দিবস পালিত হয় আর তিনি হলেন ভারত রত্ন ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় । সেই মহান ব্যক্তির নামে অর্থাৎ ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের নামে স্মারক পাওয়া আনন্দের বিষয় কিন্তু উনার কর্মময় জীবনের কোন জায়গা আমি স্থান করে নিতে পারিনি বলেন স্মারক গ্রহণ করে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শ্রীভূমি জেলা শহরের বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাঃ কমলেশ দে। শ্রীভূমি জেলার অগ্রণী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন “খুশি স্মৃতি সংস্থা” আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে জেলা সদরের তিনজন সুনামধন্য চিকিৎসক ডাঃ কমলেশ দে, ডাঃ অরুণাভ চৌধুরী এবং ডাঃ টিকে বণিক সম্মান জানানো হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে তাদেরকে উত্তরীয়, সন্মান স্মারক ও রূপার কলম উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে সংস্থার উপদেষ্টা সুব্রত চৌধুরী বলেন, ভারতে প্রথম ডাক্তার দিবস পালিত হয় ১৯৯১ সালে। তারিখটি ১ জুলাই-ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ডঃ বিধান চন্দ্ৰ রায়ের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উভয়ই উপলক্ষে। ডাঃ রায় পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং চিকিৎসা ও জনসেবায় তাঁর অবদানের জন্য ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন। তিনি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
(আইএমএ) এবং মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই) প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, আজকের এই মহান দিনে শ্রীভূমির সুনামধন্য চিকিৎসক দের সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।
উপদেষ্টা সৌমিত্র পাল বলেন যখনই আমরা অসুস্থ হই, তখন প্রথমেই আমাদের মনে আসে একজন ডাক্তারের নাম। ডাক্তারদের ঈশ্বরের দ্বিতীয় রূপ বলা হয়। কোনও সন্দেহ নেই যে ঈশ্বর আমাদের জীবন দেন। কিন্তু এটা অস্বীকার করা যাবে না ডাক্তাররা আমাদের আবার নতুন জীবন দেওয়ার জন্য কাজ করেন। ডাক্তাররা আমাদের সবচেয়ে বড় রোগ থেকে মুক্তি দেন ৷ জীবনকে সহজ করার জন্য, শরীরের সুস্থ থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রোগ থেকে দূরে থাকলে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দের সঙ্গে কাটাতে পারবেন। ডাক্তাররা আমাদের রোগ থেকে দূরে রাখেন। আজকের সময়ে, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা কোনও না কোনও রোগে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে, ডাক্তাররাই আমাদের একমাত্র ভরসা। ডাক্তারদের সম্মান জানাতে এবং তাঁদের কাজের প্রশংসা করার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালিত হয়।
এদিনের চিকিৎসক স্মারক সম্মান দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন “খুশি স্মৃতি সংস্থার পক্ষে মুখ্য আহ্বায়ক অরূপ রায়, সদস্য ও সদস্যা কৃষ্ণা মেমন দেব, সুমিতা রায়, পার্থ দাস, সন্ধ্যা কর, রুবি মল্লিক, রূপাঞ্জলী আদিত্য।