বেহাল সড়ক, কালীগঞ্জ বাজারে অবরোধ আমসু সহ আমজনতার

বরাক তরঙ্গ, ২৮ জুন : বেহাল সড়ক, প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি ছাত্র সংগঠন আমসুর। শ্রীভূমি জেলার ঘোড়ামারা থেকে কাউলি পর্যন্ত এবং কালীগঞ্জ থেকে চন্দ্রপুর পর্যন্ত পূর্ত সড়কের অবস্থা অত্যন্ত সূচনীয়। মেরামতের দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনতাকে নিয়ে আন্দোলনে নামলো আমসু। শনিবার কালীগঞ্জ বাজার চৌমাথায় রাস্তা অবরোধ বেহাল রাস্তার প্রতিবাদ জানান আমসুর কর্মকর্তা সহ আমজনতা।

এদিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। ছাত্র সংগঠন আমসু এবং কালীগঞ্জ যুব ঐক্য মঞ্চের আন্দোলনে সাড়া দেন কালীগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষ। কালীগঞ্জ অঞ্চলের প্রতিটি রাস্তা অবরোধ করে চলতে থাকে এই আন্দোলন। পূর্ত বিভাগ হায় হায়, অসম সরকার হায় হায়, অতিসত্তর রাস্তা সংস্কার করতে হবে ইত্যাদি স্লোগানে আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে তুলেন আন্দোলনকারীরা।প্রতিবাদ সামাল দিতে কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারিমুল ইসলাম মজুমদার দলবল নিয়ে মাঠে নামেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রতিবাদকারীরা কোনও ভাবেই আন্দোলন থামাতে রাজি হননি।

বেহাল সড়ক, কালীগঞ্জ বাজারে অবরোধ আমসু সহ আমজনতার

অবশেষে শ্রীভূমি পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ডিএসপি মানসপ্রতিম দাস বিশাল দলবল নিয়ে আন্দোলনের স্থলে পৌঁছান। তিনি এসে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করতে চাইলে আমসু কর্মীরা এবং স্থানীয় জনতা মানতে রাজি নয়। তাঁরা দাবি জানান আন্দোলনের স্থলে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ আসার। পরবর্তীতে আন্দোলন আরও তীব্রতর হওয়ায় নিলামবাজার সার্কল অফিসার এবং বিভাগীয় এসডিও রাজবংশী ও কালীগঞ্জ সেক্টর অফিসার সাহাবুদ্দিন পৌঁছেন। আন্দোলনকারীদের আশ্বস্থ করে বলেন, অতি শীঘ্রই ঘোড়ামারা থেকে কালীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পূর্ত সড়কের কাজ আরম্ভ হবে এবং কালীগঞ্জ থেকে চন্দ্রপুর, কালীগঞ্জ থেকে কাউলি এই দুইটি রাস্তার কাজ টেন্ডার হবে আগামী দুই দিনের মধ্যে এবং ঘোড়ামারা থেকে কাউলি পর্যন্ত রাস্তা খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের চলার উপযোগী করে দেওয়া হবে। এ নিয়ে আগামী সোমবার জেলা আমসু সহ কালীগঞ্জ ঐক্য মঞ্চের এক প্রতিনিধি দল এক্সেকিউটিভ ইঞ্জনিয়ার এর সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানান এসডিও।

বেহাল সড়ক, কালীগঞ্জ বাজারে অবরোধ আমসু সহ আমজনতার

এদিনের আনন্দলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমসুর সাধারণ সম্পাদক আফজল হোসেন তাপাদার, সহ-সম্পাদক শহিদ আহমেদ পাটিকর, কালীগঞ্জ আঞ্চলিক আমসুর সভাপতি সাহিদ আহমেদ, সম্পাদক কপিল আহমেদ, সমাজসেবী হোসেন আহমেদ, জাকারিয়া হোসেন, মিসবাউল হক সহ স্থানীয় কয়েক শত জনতা।

Author

Spread the News