বাঁশকান্দি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত পরিষদ গড়ছেন তৃণমূলকে নিয়ে নির্দলরা
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ জুন : গ্রাম পঞ্চায়েত বিন্যাসের ফলে সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে দু’টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত পরিষদ হয়েছে। একটি সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের এবং আরেকটি বাঁশকান্দি উন্নয়ন খণ্ডের আওতায় রয়েছে। দু’টি পরিষদের মধ্যে সম্ভবত সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের পরিষদটি কংগ্রেসের দখলে থাকবে। বাঁশকান্দি উন্নয়ন খণ্ডের পরিষদ হাত ছাড়া হতে পারে কংগ্রেসের। বাঁশকান্দি উন্নয়ন খণ্ডের অধীনে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত পরিষদে নয়টি সদস্যপদ রয়েছে। এরমধ্যে চারটি করে কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থী এবং একটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ফলে পরিষদ গঠনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের গোবিন্দপুর-আলগাপুর জিপির ফরিদা পারভিন বড়ভূইয়া।। তিনি যেদিকেই তাঁর হাত রাখবেন তাঁরাই পরিষদের সভাপতি মনোনীত করবেন। তবে এক সূত্রে জানা যায়, নির্দল প্রার্থীরা একজোট হয়ে সভাপতি মনোনয়ন করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন এবং তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে তাঁরা এগিয়ে রয়েছেন।
আরও জানা যায়, কংগ্রেসের দুই প্রার্থী তাঁদের পক্ষে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন। ফলে বাঁশকান্দি উন্নয়ন খণ্ডের আঞ্চলিক পঞ্চায়েত পরিষদ নির্দলরাই গঠন করার সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সূত্রের আরও খবর এপি সভাপতি হিসেবে সাতকরাকান্দি জিপির আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা সাবিনা হাবিব বড়ভূইয়ার নাম উঠে আসছে। তবে নির্ণায়ক নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবেন আলগাপুর জিপি জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।
জয়ী চার নির্দল প্রার্থীরা হলেন সাতকরাকান্দি জিপি থেকে সাবিনা হাবিব বড়ভূইয়া, নিয়াইরগ্রাম-বাগপুর জিপি থেকে সুলফানা বেগম মজুমদার, কৃষ্ণপুর জিপি থেকে আঞ্জুমনারা নাজ লস্কর এবং গোবিন্দপুর-বাঁশকান্দি জিপি থেকে ফারুক আহমদ চৌধুরী।
কংগ্রেসের মনোনয়নে বিজয়ী হলেন পশ্চিম সিঙ্গেরবন্দে নুরজাহান মজুমদার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), সোনাবাড়িঘাট জিপি থেকে আমির হোসেন লস্কর, চিরিপার-মণিপুর জিপি থেকে রাজিয়া বেগম ও শিবপুর জিপি থেকে রুমি আরা বেগম মজুমদার। তৃণমূল কংগ্রেসের গোবিন্দপুর-আলগাপুর জিপির ফরিদা পারভিন বড়ভূইয়া।
