ইবাদুর রহমান লস্করকে গুয়াহাটির প্রগ্রেসিভ পিপলস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
বরাক তরঙ্গ, ১৯ জুন : নিট (ইউজি) ২০২৫-এ অসাধারণ সাফল্য অর্জনকারী হাইলাকান্দির সাহাবাদ জিপির রংপুর অষ্টম গ্রামের কৃতী সন্তান ইবাদুর রহমান লস্করকে গুয়াহাটির একটি স্বনামধন্য দাতব্য সংস্থা প্রগ্রেসিভ পিপলস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার সংস্থার একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ইবাদুরের বাড়িতে আকস্মিকভাবে উপস্থিত হয়ে তাঁকে এবং তাঁর মা-বাবাকে সম্মানিত করে।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পিপিএফের পিএমজি গ্রুপ সদস্য ফয়জুল হুসেন লস্কর। দলে উপস্থিত ছিলেন সিএমএইচএস স্কুলের বিষয় শিক্ষক মইনুল হক চৌধুরী, নাসির উদ্দিন বড়ভূইয়া, দৈনিক গতি পত্রিকার প্রতিবেদক আফজাল হুসেন বড়ভূইয়া এবং ছাত্রী সদস্য খাদিজা বেগম ও আয়েশা বেগম লস্কর ও স্থানীয় শিক্ষক সুফিয়ান সিদ্দিকি বড়ভূইয়া। দলটি ইবাদুরকে উত্তরীয়, স্মারক উপহার এবং শুভেচ্ছাপত্র প্রদান করে। একইসঙ্গে তার মা গুলনেহার লস্কর ও বাবা মুজিবুর রহমান লস্করকেও সম্মান জানানো হয়।
ইবাদুর এই বছরের নিট পরীক্ষায় ৫২২ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে ৩০,২০৭ তম স্থান অধিকার করেছেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসে এই অসামান্য কৃতিত্ব অর্জনের পথে তিনি অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। তার সাফল্যের পেছনে প্রধান প্রেরণা হিসেবে তিনি তার বড় ভাই মিসবাহুর রহমান লস্করের অবদানের কথা উল্লেখ করেন, যিনি জামিরা এইচএস স্কুলে এমটিএস পদে কর্মরত।
ইবাদুর জানান, তার ভাইয়ের চাকরি এবং হোজাইয়ের সুপার ফর্টি ক্লাসে পড়াশোনার সুযোগ তার এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
প্রগ্রেসিভ পিপলস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দল ইবাদুরের জীবনসংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনে মুগ্ধ হন। ফয়জুল হুসেন লস্কর বলেন, “ইবাদুরের এই কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ়তা আমাদের সকলের জন্য এক প্রেরণার উৎস। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।”
ইবাদুর তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, তিনি ভালো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তারি পড়ে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে চান। তিনি তার পরিবার, শিক্ষক এবং প্রগ্রেসিভ পিপলস ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ইবাদুরের পরিবারে আনন্দের আমেজ সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশীরাও এই তরুণের সাফল্যে গর্বিত এবং তার ভবিষ্যৎ পথচলায় শুভকামনা জানিয়েছেন। প্রগ্রেসিভ পিপলস ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ লস্কর ফোনযোগে গুয়াহাটি থেকে জানিয়েছেন, সবখানে এমন কৃতী ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে পিপিএফ।