ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ মাসে মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হল শ্রীভূমিতে

জনসংযোগ, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ১১ জুন : ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ মাস উপলক্ষে বুধবার শ্রীভূমি জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় নালা ও স্থায়ী জলাশয়ে লার্ভানাশক গাপ্পি মাছ ছেড়ে মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম শুরু করেছে। শ্রীভূমি শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ সাগর পুকুর ও আশপাশের নালায় এই কর্মসূচির সূচনা করেন শ্রীভূমি পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দেব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সুখেন্দু দাস, শ্রীভূমি জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ সুমনা নাইডিং, জেলা মিডিয়া বিশেষজ্ঞ সুমন চৌধুরী, জেলা হিসাব ব্যবস্থাপক শঙ্কর লাল দে, জেলাস্তরের পরামর্শক (জাতীয় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি) দেবজিত দে এবং ওয়ার্ড কমিশনার বর্নালি দত্ত। এতে চেয়ারম্যান রবীন্দ্র দেব বলেন, জেলায় নিয়মিতভাবে ধোঁয়া ছড়ানো ও লার্ভা নিধনের স্প্রে করা হলেও, গাপ্পি মাছের মতো প্রাকৃতিক লার্ভানাশক ছাড়ার এই উদ্যোগ মশার লার্ভা নির্মূলে একটি টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি।

ডাঃ সুমনা নাইডিং স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে সচেতন ও নিয়মিত পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন, যাতে মশাবাহিত রোগের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা যায়।জেলাস্তরের পরামর্শক (জাতীয় মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি) দেবজিত দে জানান, জেলার বিভিন্ন জলাবদ্ধ অঞ্চল ও নালায় মোট ২০০০ গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে।

তিনি বলেন, ধারাবাহিক নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার ফলে জেলায় মশাবাহিত রোগের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে এবং জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণই এর মূল চাবিকাঠি। তিনি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।জেলা মিডিয়া বিশেষজ্ঞ সুমন চৌধুরী জানান, একটি গাপ্পি মাছ প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি মশার লার্ভা খেতে পারে, যা প্রাকৃতিকভাবে মশার সংখ্যা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উদ্যোগ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ মাস জুড়ে জেলার অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ ও জলাবদ্ধ এলাকায়ও চলবে। জনসচেতনতা ও স্থানীয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।