উদ্ধার-ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের পর ফগিং ও স্বাস্থ্য শিবির আসাম রাইফেলসের

বরাক তরঙ্গ, ৬ জুন : ভয়াবহ বন্যায় আসাম রাইফেলস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। জলবন্দিদের উদ্ধার থেকে শুরু করে ত্রাণসামগ্রী বণ্টন করে। বন্যা পরবর্তীতেও জনসেবায় সক্রিয় রয়েছে আসাম রাইফেলস। ফগিং ও স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করছে। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

এ দিকে, ত্রিপুরা এবং পশ্চিম মণিপুরে সম্প্রতি বন্যা উদ্ধার কার্যক্রমের পর, জল স্থির হলে বৃদ্ধি পেয়েছে আর্দ্রতার মাত্রা, যা মশাবাহিত রোগ এবং স্যানিটেশন সম্পর্কিত উদ্বেগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। আসাম রাইফেলস ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

উদ্ধার-ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের পর ফগিং ও স্বাস্থ্য শিবির আসাম রাইফেলসের

বৃহস্পতিবার সদর সাব ডিভিশনের অধীনে চন্দ্রপুর এবং রেশম বাগানের বন্যা-প্রভাবিত এলাকায় ফগিঙের ব্যবস্থা করেছে আসাম রাইফেলস। এই অভিযানটি নাগরিক ও প্রশাসনের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। যার লক্ষ্য ছিল ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকেন পক্স সহ ভেক্টর-বাহিত রোগের বিস্তার রোধ করা।

উদ্ধার-ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের পর ফগিং ও স্বাস্থ্য শিবির আসাম রাইফেলসের

আসাম রাইফেলস ডলুগাঁও বাজার, কৈলাশহর, ঊনকোটি জেলায় একটি চিকিৎসা শিবিরও আয়োজন করেছে। বন্যার কারণে ১২০ জন অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির বিভিন্ন রোগের জন্য স্ক্রীনিং করা হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। আসাম রাইফেলসের চিকিৎসকদল দ্রুত ৪০ বছর বয়সী এক অচেতন মহিলার চিকিৎসা করেন এবং সফলভাবে তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন।

উদ্ধার-ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের পর ফগিং ও স্বাস্থ্য শিবির আসাম রাইফেলসের

পশ্চিম মণিপুরে, কামরাঙ্গা ও ছোটবেকরা, জিরিবাম জেলা এবং তাতবুং, তামেঙ্গলং জেলায় বন্যা আক্রান্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা শিবির ও খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। আসাম রাইফেলসের এই সময়োপযোগী ও সহানুভূতিশীল পদক্ষেপগুলি তাদের ‘উত্তর-পূর্বের প্রহরী’ হিসেবে পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে, যারা সর্বদা সেবা ও সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত।

উদ্ধার-ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের পর ফগিং ও স্বাস্থ্য শিবির আসাম রাইফেলসের

Author

Spread the News