সারা দেশের সঙ্গে হয়বরগাঁও রেলস্টেশন ‘অমৃতস্টেশন’ হিসেবে উদ্বোধন

বরাক তরঙ্গ, ২২ মে : দেশের পুনর্বিকশিত অমৃত স্টেশন হিসেবে অসমের হয়বরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন হল। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজস্থানে আয়োজিত একটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী ১০৩টি পুনর্বিকশিত অমৃত স্টেশনের উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে ছিল হয়বরগাঁও রেলস্টেশনও। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোনের প্রথম এবং একমাত্র স্টেশন হচ্ছে হয়বরগাঁও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য,অসমের রাজস্ব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, তথ্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী কেশব মহন্ত এবং কেন্দ্রীয় বৈদেশিক পরিক্রমা ও বস্ত্র রাজ্যমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা উপস্থিত ছিলেন। হয়বরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এই জাতীয় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব এবং অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়করাও এই উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের অংশগ্রহণ অসম রাজ্য এবং সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জোনের জন্য এই বিকাশের কৌশলগত গুরুত্বকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।

হয়বরগাঁও স্টেশনের উদ্বোধন ছিল দেশব্যাপী অনুষ্ঠানের একটি অংশ, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ২৬,০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রাষ্টের প্রতি উৎসর্গ করেন, যা ভারতের ত্বরান্বিত পরিকাঠামোগত বিকাশকে তুলে ধরে।গত ১১ বছরে রূপান্তরের উপর জোর দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী আজ ভারতীয় রেলওয়ের দ্রুত অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে বন্দে ভারত, অমৃত ভারত এবং নমো ভারত ট্রেন চালু করা, যার ফলে প্রায় ৭০টি বন্দে ভারত রুট সারা দেশে যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়েছে।রাজস্থানে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় রেল, যোগাযোগ এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উপস্থিত ছিলেন। ৩৪,০০০ কিলোমিটারেরও অধিক নতুন রেলপথ স্থাপন করা হয়েছে, ব্রডগেজ লাইনে মানব বিহীন লেভেল ক্রসিং অপসারণ করা হয়েছে এবং ১০০ শতাংশ বিদ্যুতিকরণের কাজ চলছে।অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে ১,৩০০ টিরও অধিক স্টেশন আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১০০ টিরও অধিক স্টেশনে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে – যেখানে আঞ্চলিক ঐতিহ্যকে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধার সাথে একীকৃত করা হচ্ছে।

পুনর্বিকশিত হয়বরগাঁও স্টেশনটি কেবল একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবেই নয় বরং একটি প্রাণবন্ত শহর কেন্দ্র হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে দিব্যাঙ্গজন অনুকূল সুবিধার পাশপাশি বিশ্বমানের যাত্রী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।স্টেশনের স্থাপত্য নকশা “বিরাসত ভি বিকাশ ভি” নীতিকে প্রতিফলিত করে, যেখানে আধুনিক উপযোগিতাকে স্থানীয় অসমীয়া সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের তাৎপর্যের সাথে মিশ্রিত করা হয়েছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্বের জন্য তাঁর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যা ভারতীয় রেলওয়েকে পরিকাঠামো এবং যাত্রী পরিষেবা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।হয়বরগাঁও অমৃত স্টেশনের সফল পুনর্বিকাশ নতুন ভারতের আকাঙ্ক্ষার অনুরূপ আধুনিক, সহজলভ্য এবং সর্বাঙ্গীন রেল পরিষেবা প্রদানের প্রতি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিবদ্ধতার প্রমাণ।