পহেলগাঁওয়ে কোনও সেনা ছিল না কেন, সর্বদল বৈঠকে প্রশ্নের জবাব কেন্দ্রের

২৫ এপ্রিল : দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গিদের হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর পরেই সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আহ্বানে সেই বৈঠকে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিল বিরোধীরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বদল বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বৈসরনে সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্নটি উত্থাপন করেছিলেন এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং সহ আরও অনেকে তাঁর প্রশ্নে সহমত ছিলেন। বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল, কেন হামলার স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়নি।

প্রশ্নের উত্তরে সরকার ব্যাখ্যা করেছে, জুন মাসে শুরু হওয়া বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার আগে বৈসরন এলাকাটি সাধারণত সুরক্ষিত থাকে। এরপরই রুটটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। অমরনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে বৈসরনে বিশ্রাম নেওয়া তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

কেন্দ্র জানিয়েছে, স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা তীর্থযাত্রার মরশুমের জন্য নিরাপত্তা মোতায়েন করার অনেক আগেই ২০ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের এই অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া শুরু করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বৈঠকে সরকারি প্রতিনিধিরা জোর দিয়ে বলেন যে স্থানীয় প্রশাসনকে পর্যটকদের আগাম ভ্রমণ শুরু হওয়ার বিষয়ে অবহিত করা হয়নি, এবং তাই কোনও সেনা মোতায়েন করা হয়নি।

বিরোধীদের আরও একটি প্রশ্ন ছিল, ভারতের যদি জল সংরক্ষণের ক্ষমতা না থাকে, তাহলে কেন্দ্র কেন সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল?

এর জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ তাৎক্ষণিক ফলাফলের জন্য নয় বরং একটি প্রতীকী এবং কৌশলগত চাল। কেন্দ্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশের জন্য চুক্তিটি স্থগিত করা হয়েছিল। একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সরকারের অবস্থান কী হতে চলেছে তাও নির্দেশ করছে।”

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির একটি সংক্ষিপ্তসার দিয়ে বৈঠকের সূচনা করেন। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্ট তপন ডেকা ২০ মিনিটের একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে পহেলগাম হামলার ঘটনাক্রম, গোয়েন্দা তথ্য এবং ঘটনার পর থেকে গৃহীত পদক্ষেপগুলি বিস্তারিত বুঝিয়ে বলেন।

সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার অংশগ্রহণ করেছিলেব। খাড়গে এবং রাহুল ছাড়াও, বিজেপি সভাপতি এবং রাজ্যসভার সংসদ নেতা জেপি নাড্ডা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি-এসপি), প্রফুল্ল প্যাটেল (এনসিপি), সস্মিত পাত্র (বিজেডি), শ্রীকান্ত শিন্ডে (শিবসেনা), প্রেমচাঁদ গুপ্ত (আরজেডি), তিরুচি শিবা (ডিএমকে) এবং রাম গোপাল যাদব (এসপি)।
খবর : আজকাল ডট ইন।

পহেলগাঁওয়ে কোনও সেনা ছিল না কেন, সর্বদল বৈঠকে প্রশ্নের জবাব কেন্দ্রের

Author

Spread the News