কাশিপুর সিআরপিএফ ক্যাম্পে নানা কার্যসূচির মধ্য দিয়ে সৌরদিবস পালন
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ এপ্রিল : প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কাশীপুরস্থিত ১৪৭ সিআরপিএফ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে সৌরদিবস পালন করা হয়। বুধবার সারাদিন বিভিন্ন কার্যসূচি মধ্য দিয়ে পালন করা হয় দিবসটি। প্রথমে ক্যাম্পের কমান্ডেন্ট ব্রোনো.এ শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।এরপর সৈনিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধীনে থাকা ব্লাড ব্যাংকের কর্মীদের সহযোগিতায় এক রক্তদান শিবিরের শিবিরের আয়োজন করার হয়। সন্ধ্যায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সিআরপিএফ জওয়ান সহ আশ-পাশের গায়ক ও নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন, সেই সঙ্গে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা বিভাগের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত রেশমী দেবীর তত্ত্বাবধনে ছয়জন চিত্রকলা প্রদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে অংশগ্ৰহনকারী চিত্রকলা শিল্পী সহ গায়ক ও নৃত্যশিল্পীদের হাতে ১৪৭ সিআরপিএফের পক্ষ প্রশংসাপত্র তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করার জন্য পালিত হয় এই দিনটি। ১৯৬৫ সাল, গুজরাটের কচ্ছের রানে সর্দার পোস্ট। পাকিস্তান সীমান্তের ওই জায়গায় মোতায়েন ছিল সিআরপিএফ-এর ২টি কোম্পানি। এই দিনেই সেখানে হামলা চালায় পাকিস্তানের বাহিনী। কচ্ছের রানে থাকা ভারতীয় বর্ডার পোস্টগুলির দখল নিতে অপারেশন ডেজার্ট হক চালিয়েছিল পাকিস্তান। ভারী সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওই হামলা রুখতে সেদিন সেখানে ছিলেন মাত্র শত দেড়েক সিআরপিএফ জওয়ান। পরপর তিনবার হামলা চালায় পাকিস্তান। কিন্তু প্রতিবারই বিফল হয় তারা। ওই কয়েকজন ভারতীয় জওয়ানের টানা ১২ ঘণ্টার হার-না মানা লড়াইয়ে সেদিন পিছু হঠতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। একাধিক পাক সৈন্য মারা গিয়েছিলেন। ধরা পড়েছিলেন কয়েকজন। সেদিন ভারতের ভূখণ্ড রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬ জন সিআরপিএফ জওয়ানও। তারপর থেকে প্রতিবছর ৯ এপ্রিল দিনটি সিআরপিফ এর তরফে শৌর্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
