দু’টি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে চাকরির শেষ দিনে মৃত্যু চালকের

২ এপ্রিল : চাকরি জীবনের শেষ দিনে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বারহাট এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ (Jiyaganj) শহরের বাসিন্দা এক ট্রেন ইঞ্জিন চালকের। মৃত ওই ব্যক্তির নাম গঙ্গেশ্বর মাল (৬৫)। তার বাড়ি জিয়াগঞ্জের ভট্টপাড়া এলাকায়।

চাকরির শেষ দিনে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতিমধ্যে মৃত ব্যক্তির দেহ আনার জন্য ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন গঙ্গেশ্বর মালের পরিবারের সদস্যরা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ গোড্ডা জেলা লালমাটি এলাকা থেকে একটি কয়লা বোঝাযই ট্রেন ফরাক্কা এনটিপিসির (NTPC) উদ্দেশ্যে আসছিল।

ঝাড়খণ্ডের বারহাট এলাকায় লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি মালগাড়ির ইঞ্জিনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই মালগাড়িটির। দুটি ইঞ্জিনের সংঘর্ষে পুড়ে মৃত্যু হয় খালি ইঞ্জিনের ড্রাইভার অম্বুজ মাহাতো এবং গঙ্গেশ্বর মালের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছ’জন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, সাহেবগঞ্জ জেলার বারহাট থানা এলাকায় অবস্থিত ফারাক্কা-লালমাটিয়া এমজিআর রেললাইনে আবারও একটি বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফারাক্কা এনটিপিসি থেকে আসা খালি পণ্যবাহী ট্রেনটি বারহাট এমটির কাছে লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, যখন লালমাটিয়ার দিকে যাওয়া কয়লা বোঝাই থ্রুপাস পণ্যবাহী ট্রেনটিকে মূল লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে কন্ট্রোলার দ্বারা সংকেত দেওয়া হয়েছিল। এরপর দু’টি পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দুই রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

দু'টি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে চাকরির শেষ দিনে মৃত্যু চালকের

একজনকে ঝাড়খণ্ডের বোকারো (Bokara) জেলার বাসিন্দা বলা হলেও, অন্যজনকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। এছাড়াও, এই ঘটনায় ৬ জন রেলকর্মী আহত হয়েছেন। যাদের বারহাট কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা উচ্চতর কেন্দ্রে রেফার করেছেন। তবে, এই ঘটনাটি ভোর ৩টায় ঘটেছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ঘটনার পর সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সেখানে পৌঁছানোর পর, দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি লিঙ্ক সংযুক্ত করে মামলার তদন্ত শুরু করেছে রেলের তদন্তকারী অফিসাররা।

Author

Spread the News