বরাকের অর্থনীতি বিষয়ক অকাদেমি পত্রিকার সংখ্যা উন্মোচন

বরাক তরঙ্গ, ১৯ মার্চ : বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সম-উন্নয়ন চান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বরাক উপত্যকায় যেখানে উন্নতির সম্ভব, এখানেই নতুন প্রকল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তিনি। উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমিক উপত্যকার অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব এবং এবার একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই বললেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। বুধবার বঙ্গভবনে অকাদেমি পত্রিকার সপ্তম সংখ্যার আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হয় মন্ত্রীর হাত ধরে। এই সংখ্যার বিষয় হচ্ছে ‘বরাক উপত্যকার অর্থনৈতিক দৃশ্যপট’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মন্ত্রী এবং তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি সুবীর রায়, সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত, কাছাড় জেলা সমিতির সভাপতি সঞ্জীব দেব লস্কর, সম্পাদক উত্তমকুমার সাহা, সাময়িক প্রসঙ্গ পত্রিকার সম্পাদক তৈমুর রাজা চৌধুরী, শিলচর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব সহ অন্যান্যরা।

স্বাগত ভাষণে গৌতম প্রসাদ দত্ত বলেন, এই উপত্যকার জনসংখ্যা ৪৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। তবে কৃষিভিত্তিক আয় এখনও তলানিতে। আর্থসামাজিক পরিকাঠামো যোগাযোগব্যবস্থা, সবকিছুই অনুন্নত। এলাকার অর্থনীতির উন্নতি যোগাযোগ পরিকাঠামোর উপর নির্ভরশীল। বিকল্প রেলপথের দাবি বহুদিনের। সরকার এক্সপ্রেস হাইওয়ে ঘোষণা করেছে, বিকল্প রেলপথের কথা বলা হয়েছে তবে আমরা চাই এসব অতিসত্বর বাস্তবায়ন হোক। কাঁচামালের যোগানের কথা মাথায় রেখে পাঁচগ্রামে ছোট হলেও কাগজকল হোক। সব প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে একটি সুন্দর বরাক গড়ে উঠুক, এটাই এই উপত্যকার প্রত্যেক ব্যক্তির দাবি।

বরাকের অর্থনীতি বিষয়ক অকাদেমি পত্রিকার সংখ্যা উন্মোচন

তৈমুর রাজা চৌধুরী সহ অন্যান্যরা এদিন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে বরাকের সড়ক, রেলপথ সহ বিমান পরিবহনের কথা উঠে আসে। গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো কয়েকটি শিক্ষার পরিকাঠামোর প্রস্তাবও আসে এদিন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বরাক উপত্যকার উন্নতির জন্য আলাদা মন্ত্রক ঘোষণা করেছেন এবং তৈমুর রাজা চৌধুরী এর প্রশংসা করেন।

বরাকের অর্থনীতি বিষয়ক অকাদেমি পত্রিকার সংখ্যা উন্মোচন

তিনি বলেন, ‘আগে এতটা যত্ন নিয়ে বরাকের কথা কেউ ভাবেনি। মুখ্যমন্ত্রী যেদিন বরাকের দুই যোগ্যতম ব্যক্তিকে মন্ত্রী বানালেন, সেদিনই এই উপত্যকার উন্নতির জন্য আলাদা মন্ত্রক ঘোষণা করলেন। এই মন্ত্রকের মাধ্যমে বরাক উপত্যকার উন্নতি দ্রুততর হবে।’ তিনি কৌশিক রায়কে বরাকের মুখ্যমন্ত্রী আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘উপত্যকার যোগ্যতম ব্যক্তিকে বরাকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু মন্ত্রী হিসেবে দক্ষ এমনটা নয়, এই এলাকার ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি তার সম্মান চোখে পড়ার মতো। আমরা দেখেছি অতীতে বহু বাঙালি জনপ্রতিনিধি দিশপুরে গিয়ে ভাঙ্গা ভাঙ্গা অসমীয়ায় কথা বলতেন। এসব দেখে আমাদের লজ্জা হতো। অথচ কৌশিক রায় বিধানসভায় স্পষ্ট বাংলায় কথা বলেন। এতে এই উপত্যকার প্রত্যেক ব্যক্তি গর্ববোধ করেন।’

Spread the News
error: Content is protected !!