৪০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন অসম্ভব, করিম উদ্দিন

অরুণোদয় প্রকল্পে বৈষম্য বন্ধ করতে বিধানসভায় সরব সোনাইর বিধায়ক
বরাক তরঙ্গ, ১৩ মার্চ : বাজেটে বরাককে বঞ্চনা করেছে রাজ্য সরকার। বরাক উন্নয়ন নামের নতুন বিভাগ সৃষ্টি হওয়ার পর এ বছর বাজেটে বড় প্যাকেজের আশায় ছিলেন উপত্যকাবাসী। ২০১২-১৩ সালে তৎকালীন সরকার বরাকের উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দিয়েছিল। এবার আমাদের আশা ছিল কমে-ও ২ হাজার কোটি টাকা পাব। কিন্তু মাত্র ১০০ কোটির প্যাকেজ দিয়ে বরাককে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করছে হিমন্ত সরকার। বুধবার অসম বিধানসভার অধিবেশনে বাজেট বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারকে বিধলেন সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া (সাজু)। তিনি জানান, রাজ্যের মধ্যে শিবরাত্রিতে ভুবন তীর্থে সবচেয়ে বেশী পূণ্যার্থী যান। তাই সোনাবাড়িঘাট থেকে ভুবন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আসাম মালা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছিলাম। এছাড়া বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালে-ও সরকার গুরুত্ব দেয়নি বাজেটে। বিধায়ক করিম উদ্দিন বলেন, বাজেটে নেওয়া প্রকল্পগুলোর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাজেট পেশ করার আগে পূর্বের প্রকল্প গুলো কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা তোলা ধরা উচিত।

বিধায়ক জানান, অ্যাডভান্টেজ আসামের স্বপ্ন দেখছে সরকার। কিন্তু রাজ্যে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা-বেচায় অনুমতি তৈরি করে সরকার অ্যাডভান্টেজ আসাম বাস্তবায়ন করতে পারবে? এ প্রশ্ন তোলে বিধায়ক করিম উদ্দিন বলেন, ৪০ শতাংশ মানুষের উন্নতি বাদ দিয়ে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভোটের স্বার্থে রাজ্য সরকার অরুনোদয় প্রকল্প এনেছে। এই প্রকল্প থেকে এক শ্রেণীর মানুষকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যে বুথে বিজেপির ভোট রয়েছে, সেই বুথ এলাকায় বেশী সংখ্যক অরুনোদয় হিতাধিকারী বাছাই করা হচ্ছে। এভাবে অরুণোদয় প্রকল্পে স্বজনপোষণ বন্ধ করতে বিধানসভায় দাবি তোলেন বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া।

৪০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন অসম্ভব, করিম উদ্দিন


“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ” মুখে না বলে তা বাস্তবায়ন করতে রাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়ে সোনাইর বিধায়ক বলেন, ডিলিমিটেশনের নামে মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার স্বার্থে রাজ্য থেকে ৩৫টি আসন থেকে কমিয়ে ২২টি বিধানসভা কেন্দ্র করা হয়েছে। বরাক থেকে দুইটি আসন কর্তন করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ডিলিমিটেশনে-ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অন্যায় করেছে সরকার। এভাবে জাতি ও ভাষিক দিক দিয়ে ভাগাভাগি করিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখলে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না বলে জানিয়ে বিধানসভায় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আওয়াজ তোলেন সোনাইর বিধায়ক।

Author

Spread the News