ভক্তিসন্ধ্যায় অনন্য অনসূয়া, মন্ত্রমুগ্ধ শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা সমিতি

বরাক তরঙ্গ, ৪ মার্চ : হাইলাকান্দির শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা সমিতিতে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৯০ তম জন্মতিথি উদযাপন সমারোহ চলছে।  চলবে সপ্তাহব্যাপী। ৩ মার্চ ছিল তৃতীয় দিনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সেদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল কৃষ্ণ-কালী কীর্তন, অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘শ্যামা শ্যাম শিব রামনাম’। আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী অনসূয়া মজুমদার। গাইলেন আড়াই ঘণ্টা, মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলেন উপস্থিত শ্রোতাদের। কৃষ্ণস্তব ও কালীস্তুতি দিয়ে শুরু করেন অনুষ্ঠান। তারপর পরিবেশনার মূল বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গাইতে থাকেন একের পর এক কালী কীর্তন, কৃষ্ণ কীর্তন, রবীন্দ্রনাথ-রজনীকান্তের গান এবং বিভিন্ন ধারার ভক্তি রসাসৃত সঙ্গীত। কী অসাধারণ বাচন ভঙ্গি ও সুরেলা উপস্থাপনা। উপস্থিত দর্শক বিভোর হয়ে শুনলেন টানা আড়াই ঘণ্টা। ‘হৃদয় রাস মন্দিরে’, ‘যে তৃষা জাগিলে’, ‘আমি অন্ধ আমি মূর্খ’, ‘আমার মা সারদা’, ‘একবার নাচ মা’, ‘কেমনে চিনিব তোমারে’, ‘আমি অকৃতি অধম’, ‘তাই তোমার আনন্দ আমার পর’, ‘শ্যামা শ্যাম শিব রামনাম’ থেকে শুরু করে রাম ভজন ‘রাম নাম অতি মিঠা হ্যায়’, ‘রাজরানি মীরা ভিখারিণী’র মতো একগুচ্ছ গান শ্রোতাদের উপহার দেন শিল্পী অনসূয়া।

ভক্তিসন্ধ্যায় অনন্য অনসূয়া, মন্ত্রমুগ্ধ শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা সমিতি

মুগ্ধ শ্রোতাদের অনুরোধের গান‌ও গেয়েছেন শিল্পী সানন্দে। তাতে আরো বেশি আনন্দিত হোন উপস্থিত শ্রোতৃবৃন্দ। সেদিন সন্ধ্যায় শিল্পী অনসূয়া বরাবরের মতো তাঁর গান ও সুললিত কথন-শৈলীর মাধ্যমে শ্রোতাদের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগাযোগ মুহূর্তের মধ্যেই স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এখানেই তাঁর সার্থকতা। শিল্পী অনসূয়ার পরিবেশনায় ভক্তির সঙ্গে ফুটে ওঠে তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গীত সাধনার উজ্জ্বল ফলশ্রুতি।

ভক্তিসন্ধ্যায় অনন্য অনসূয়া, মন্ত্রমুগ্ধ শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা সমিতি

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে গাইলেন একখানা ধামাইল ‘মিলন হেরো গো’; গাইলেন তাঁর সিগনেচার সং ‘এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে’। দারুণ সেই উপস্থাপনা। আর অনুষ্ঠানের ইতি টানলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণের জয়ধ্বনি দিয়ে ‘জয় জয় রামকৃষ্ণ রামকৃষ্ণ বল বদনে’র মধ্য দিয়ে। কণ্ঠ মেলাতে মঞ্চের সামনে থেকে ডেকে নিলেন উপস্থিত সঙ্গীত শিল্পীদের। এই আন্তরিকতা, এই মেলবন্ধন সত্যিই প্রশংসনীয়। শিল্পীকে গোটা অনুষ্ঠানে তবলায় সহযোগিতা করেছেন চিরঞ্জীব অধিকারী, সিন্থেসাইজারে বরাক বাংলার বিখ্যাত সুরকার, কথাকার, কম্পোজার ঋষিকেশ চক্রবর্তী, গিটারে গোবিন্দ শর্মা এবং অক্টোপেডে তুষার কান্তি দে।

Author

Spread the News