বাস্তব চিত্র, সাইকেলে বেধে লাশ বাড়িতে নিলেন এক ব্যক্তি মাজুলিতে
বরাক তরঙ্গ, ২৭ জানুয়ারি : স্বাধীনতা ৭৯ বছর আর গণতন্ত্রের ৭৬ বছর পার করল দেশ। এই স্বাধীন দেশের শাসনে কংগ্রেস বা বিজেপি এমনকি আঞ্চলিক দলগুলোর উন্নয়নের গান গেয়ে গেলেন। কিন্তু বাস্তবে দেশের উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে তার প্রমাণ আজও মিলছে। শহর বা নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে বহু গ্রাম উন্নয়নের মুখ দেখেনি। এমন এক বাস্তব চিত্র ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে পরিস্ফুটিত হয়। ঐদিন গোটা দেশ তখন আনন্দে মেতে ওঠে। প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সরকারি আধিকারিক সবাই। উন্নয়নের খবর দিতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। তখনই ঘটনাটি ঘটে। বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ মাজুলিতে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাইকেলে পরিবারের সদস্যের লাশ বহন করতে দেখা গেছে। দৃশ্যটি ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে।
মাজুলির লুইতের উপর লুইত খাবলু সেতুর বেহাল দশার কারণে মৃতদেহ সাইকেলের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছিল। লুইতের খাবলু নগর গ্রামের জীবন দাস নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তবে খাবলু সেতুর বেহাল দশার কারণে তার বাড়িতে কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। জীবনের লাশ সাইকেলে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। লুইত খাবলুর বাসিন্দাদের সুবিধার্থে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও প্রায় দুই বছর ধরে কাজ শেষ হয়নি। অত্যন্ত ধীরগতিতে সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন বিপাকে পড়েছেন।
জনতা ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, সরকার যখন উন্নয়নের ঢোল বাজছে, এমন সময়ে সেতুর জন্য সাইকেলের সঙ্গে লাশের শরীর বেধে রাখতে হচ্ছে দুর্ভাগ্যজনক। প্রতিবারই নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের বিশিষ্ট নেতাদের চোখ মাজুলীর দিকে। কিন্তু মাজুলির সাধারণ মানুষের আজ এই অবস্থা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, এক বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ না হলে আগামী দিনে ভোট বর্জনের মতো সিদ্ধান্ত নেব। সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি রয়েছে।’ সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিত।” আসলে এই দুর্দশা একমাত্র মাজুলির মানুষই বুঝতে পারে। কিন্তু তাদের সমস্যা কি শেষ হবে? এটা একটা বড় প্রশ্ন।