সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে মহানাটক মণিপুরে জেডিউই-র
২৩ জানুয়ারি : এন বীরেন সিং সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে মহানাটক মণিপুরে। মণিপুরে জনতা দল ইউনাইটেডের একজন মাত্র বিধায়ক আছেন। বুধবার আচমকাই মণিপুরে জনতা দল ইউনাইটেডের রাজ্য সভাপতি কেশ বীরেন সিং রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, তারা মণিপুরের এনডিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছেন। আগামীকাল থেকে তাঁদের একমাত্র বিধায়ক মহম্মদ আবদুল নাসির বিরোধী দলের আসনে বসবেন। এই সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি জাতীয় স্তরেও এনডিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে চলেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই কেশ বীরেন সিংকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে দেন জেডিউ নেতৃত্ব। জেডিইউ-র জাতীয় মুখপাত্র রাজীবরঞ্জন প্রসাদ ওই চিঠিকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্ব জেডিইউ-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যপালকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানান। পাশাপাশি, চিঠি লেখার জন্য মণিপুরের জেডিইউ রাজ্য সভাপতি কেশ বীরেন সিংকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান রাজীব।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নির্বাচনে জনতা দল ইউনাইটেডের ৬ জন বিধায়ক জয়ী হয়। এর মধ্যে ৫ বিধায়কই পরে শাসক বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে মণিপুরে ৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩৭। যার মধ্যে নাগা পিপলস ফ্রন্টের ৫ জন ও ৩ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কেন্দ্রেও এনডিএ-র অন্যতম শরিক দল জনতা দল ইউনাইটেড। বিহারেও দুই দল পরস্পরের সহযোগী। তা সত্ত্বেও রাজনীতির অলিন্দে নীতীশ কুমার যেভাবে জোট বদলান তাতে অনেকেই মণিপুরের খবরে ধন্দ্বে পড়ে যান। যদিও শেষ পর্যন্ত নীতীশের দলের পদক্ষেপে স্বস্তি ফিরেছে এনডিএ শিবিরে।