এপিডিসিএলের ‘টিওডি’ পদ্ধতির বেসরকারিকরণের চক্ৰান্ত : কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন
বরাক তরঙ্গ, ২৩ জানুয়ারি : আগামী বিত্তীয় বৰ্ষে বিদ্যুতের মাশুল তিন ধরনের করার এপিডিসিএল’র প্ৰস্তাবকে চুড়ান্ত জনবিরোধী আখ্যা দিয়ে অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের আসাম রাজ্য কমিটি এক প্রেস বার্তায় বলে, এপিডিসিএলর এই প্ৰস্তাব সরকারের মিথ্যাচারকে তুলে ধরেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী বিদ্যুতের মাশুল আগামী এক এপ্ৰিল থেকে হ্ৰাসের তার বিপরীত চিত্ৰ দেখা গেছে। আগামী বিত্তীয় বৰ্ষে এপিডিসিএল দৃশ্যত: মাশুল বৃদ্ধির প্ৰস্তাব করে নাই, কিন্তু টিওডি ( টাইম অব ডে) ব্যবস্থায় তিন ধরনের বিদ্যুৎ মাশুল নিৰ্ধারণের প্ৰস্তাব আসলে সুকৌশলে ঘোর পথে মাশুল বৃদ্ধির চক্ৰান্ত। সাধারণ গ্ৰাহকেরা সন্ধ্যা ৫ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হয় এবং সেই সময়কে পিক আওয়ার ধরে নিয়ে মাশুল সৰ্বোচ্চ ৯.৬২ টাকা ধাৰ্যের প্ৰস্তাব সাধারণ বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে। বিভিন্ন পরিষেবা খণ্ডের বেসরকারিকরণ ঘটানোর পর প্ৰাইভেট কোম্পানীগুলো যেমন বাজারের চাহিদার উপর নিৰ্ভর করে দাম নিৰ্ধারণ করে এবং গ্ৰাহকদের সৰ্বোচ্চ চাহিদার সময়ে সৰ্বোচ্চ দাম দিতে বাধ্য করে। ঠিক তেমনি বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও এই টিওডি’র মাধ্যমে একই ধরনের ব্যবস্থা প্ৰবৰ্তনের চেষ্টা হচ্ছে, যা আসলে বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ। অল আসাম ইলেকট্ৰিসটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন আগে থেকে বলে আসছে যে, সরকার বিদ্যুতকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা থেকে লাভজনক পণ্যে পর্যবসিত করতে বেসরকারিকরণের চক্ৰান্ত চালাচ্ছে।
এপিডিসিএল ‘টিওডি’ পদ্ধতির মাশুল নিৰ্ধারণের প্ৰস্তাবে অ্যাসোসিয়েশন এর বক্তব্যের সত্যতাকেই প্ৰতিপন্ন করেছে। অল আসাম ইলেকট্ৰিসটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন এই জনবিরোধী প্ৰস্তাবকে অবিলম্বে প্ৰত্যাহারের দাবি জানায়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খণ্ডকে পরিষেবা হিসেবে অক্ষুণ্ন রাখা, প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার বাতিল এবং মাশুল বৃদ্ধি রোধের দাবিতে শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে জনসাধারণের প্ৰতি আহ্বান জানান।