করিম উদ্দিন মজুমদার প্রয়াত
বরাক তরঙ্গ, ২০ অক্টোবর : গোঁসাইপুর তৃতীয় খণ্ডের বাসিন্দা তথা ঠিকাদার করিম উদ্দিন মজুমদার ওরফে পাখি প্রয়াত হলেন। শনিবার রাত সাড়ে আটটায় নাগাদ শিলচরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন আইসিইউ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি কয়েকদিন ধরে হাঁটু ব্যাথা সহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর একদিন আগে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হন। এতে সমস্যা দেখা দেয় হৃদযন্ত্রেও। সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার রাতে তাঁকে শিলচর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চলছিল চিকিৎসা। চিকিৎসায় কিছুটা সাড়াও দিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্বাস্থ্যের আবার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকের সমস্ত চিকিৎসার কাছে হার মানিয়ে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পরপারে পাড়ি দেন। রবিবার বেলা দেড়টায় মজুমদারের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সহস্রাধিক লোকের উপস্থিতিতে জানাজা নামাজ পাঠ করেন পীর গোবীন্দপুরীর কনিষ্ঠভ্রাতা মওলানা মোহাম্মদ সয়িদ।
প্রয়াত মজুমদার পরোপকারী লোক ছিলেন। আত্মীস্বজন ছাড়াও পাড়াপ্রতিবেশী যে কেউ ডাকলে সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তাঁর অমায়িক ব্যবহারে সবার প্রিয় ছিলেন। চলার পথে যতই ঝড়-তুফান আসুক না কেন হাসিমুখে মোকাবিলা করতেন। উধারবন্দ অঞ্চলের রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ ছিল। তিনি ছিলেন একজন ধার্মিক লোকও। জমিয়ত দলের অনুগামী ছিলেন। মওলানা আহমদ সয়িদ গোবিন্দপুরী ও মওলানা হাফিজ জয়নুল আবেদিন শিলডুবী দুই ইসলামি পণ্ডিতের আনুগত্য ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে, পুত্রবধূ, দুই জামাতা, নাতি নাতনি সহ আত্মীয়স্বজন। তাঁর একমাত্র ছেলে মুন মজুমদার উধারবন্দ বাজারে তার রয়েছে একটি বিপনী কেন্দ্র। করিম উদ্দিন মজুমদারের মৃত্যুতে অনেকেই শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। রবিবার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মজুমদারকে শেষবারের মতো দেখতে বাড়িতে এসে ভিড় করেন।

