ইতিহাস গড়ে সেমিতে আফগানিস্তান
২৫ জুন : বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান সুপার ৮-এর শেষ ম্যাচ নাটকীয়তার চরমে পৌঁছল। এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর ভাগ্য ঝুলে ছিল তিন-তিন দলের। আর ব্লকবাস্টার থ্রিলার জিতে ইতিহাস গড়ে সেমিতে পৌঁছে গেল আফগানিস্তান। রশিদ খানের ম্যাজিকে ভর করে আফগানরা বাংলাদেশকে হারাল ৮ রানে। আর তাতেই তারা প্রথমবারের মতো কোনও আইসিসির মূল ইভেন্টে শেষ চারে পৌঁছল।
মঙ্গলবার বাংলাদেশকে আট রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। একইসঙ্গে বিদায় অস্ট্রেলিয়ার। সুপার এইট পর্ব থেকেই ছিটকে গেলেন মিচেল মার্শরা। বিশ্বক্রিকেটে এক নতুন ইতিহাস লিখল আফগানরা। রশিদদের এই সাফল্যকে কোনওভাবেই অঘটন বলা যাবে না। টি-২০ বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ধাপে ধাপে এগিয়ে আজ ইতিহাসে আফগানরা। প্রথম ধাপ ছিল গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারানো। তারপর সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়াকে হারায়। বিশ্বমঞ্চে বিশ্ব ক্রিকেটের দুই শক্তিকে ফ্লুকে হারানো যায় না। ক্রিকেটে এখন অনেক উন্নতি করেছে আফগানিস্তান। বিশেষ করে টি-২০ ক্রিকেটে। প্লেয়াররা বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলায় এই ফরম্যাটের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তারই ফল মিলল এই টি-২০ বিশ্বকাপে।
একমাত্র রহমানুল্লা গুরবাজ ছাড়া কেউ রান পায়নি। ৫৫ বলে ৪৩ করেন আফগান ওপেনার। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ ১৯ রান যোগ করেন রশিদ খান। যা আফগানিস্তানকে একশোর গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করে। ২০ ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে তাঁদের রান ছিল ১১৫। যা দেখে হয়তো কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল অজিরা। কিন্তু সেটা ক্ষণস্থায়ী হয়। বল হাতে দাপট আফগানদের। রশিদ খান এবং নবীন উল হকের দাপটে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। দু’জনেই চারটি করে উইকেট নেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ১৯ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১১৪। কিন্তু ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ওপার বাংলার দল। একমাত্র লিটন দাস ছাড়া কেউ রান পায়নি। ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশের ওপেনার। ম্যাচের সেরা নবীন উল হক। শেষ চারে গিয়ে বিশ্বক্রিকেটে নতুন ইতিহাসের রচনা করল আফগানরা।