পরাজয় স্বীকার করে ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার হাফিজ রশিদের

মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুন : লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে আলোচিত আসন ছিল করিমগঞ্জ লোকসভা আসন। বিজেপির জন্য ছিল সেন্টিমেট ইস্যু। যার কারনে আগা থেকে গোড়া অবধি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তবে শেষ দৌড়ে বিজেপি বাজিমাত করলে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে গেরুয়া দলকে । কোন ধরনের সংঘটনের শক্তি ছাড়াই একাই৷ লড়াই করতে হয়েছে হাফিজ রসিদ আহমদ চৌধুরী কে এতে অনেকটা নাকানি চিবুনি খেতে হয়েছে বিজেপি। অবশ্য ফল প্রকাশের আগেই নিজের  পরাজয় স্বীকার করে৷ নিজ লোকসভা কেন্দ্র  করিমগঞ্জ সহ হাইলাকান্দির দুই জেলার ভোটার ও সকল স্থরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভূল করেননি কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরী। সংবাদ মাধ্যমে সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন ভোটে জয়-পরাজয় থাকে। মাঠে প্রতিদ্বন্দিতায় ছিলেন ২৪ জন প্রার্থী এর মধ্যে একজনই জয়ী হবেন।এতে  সাধারণ মানুষের রায়কে মাথা পেতে নিতে হয়। অপ্ল দিনের মধ্যে সাংগটনিক শক্তি ছাড়াই প্রচারে নেমে জনসমর্থ পেয়েছেন এবং দুই  জেলার ভোটার যেভাবে কংগ্রেসকে ভোট  দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুল করেন নি তিনি। এতে তিনি বলেন ভোট ,গণনা পর্বে তিনি নিজে পুরাপুরি স্যাটিসফাইড।দুই জেলার মানুষের সুখে দুখে আগামীতে তিনি তাদের পাশে থাকবেন বলে জানান।

এদিকে, মঙ্গলবার করিমগঞ্জ কলেজে গননা কেন্দ্রে সকাল ৮:৩০ মিনিট থেকে ইভিএমের ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথমে করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার পোস্টাল ব্যালোট গুলো ১০ টি টেবিলে গণনা হবে। এরপর করিমগঞ্জ জেলার ৪ বিধানসভা সমষ্টির ভোট গুলো গণনা কেন্দ্রে আরম্ভ হয়। করিমগঞ্জ জেলার ৪টি বিধানসভার সমষ্টির মধ্যে ১২৩ নম্বর উত্তর করিমগঞ্জে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৩০১টি। এই সমষ্টির ভোট গুলো ১৪টি টেবিলে মোট ২২ রাউন্ডে গণনা হয়। ১২৪ নম্বর দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভা সমষ্টিতে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ৩১২টি, মোট ১৪টি টেবিলে ২৩ রাউন্ডে গণনা হয়। ১২৫ নম্বর পাথারকান্দি বিধানসভা সমষ্টিতে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ১৯৮, ১২টি টেবিলে ১৭ রাউন্ডে গণনা হয়। ১২৬ নম্বর রামকৃষ্ণনগর (এসসি) বিধানসভা সমষ্টিতে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল২৪৭, ১৪টি টেবিলে ১৮ রাউন্ডে গণনা করা হয়।

এদিন করিমগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের গণনা প্রাঙ্গনে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয় ছিল।এতে  সিআরপিএফ, অসম পুলিশের  কড়া নজর দারিরবপাশাপাশি গননা কেন্দ্রের চতুর দিকে সিসিটিভির নজরদারি ছিল। গণনা প্রাঙ্গণের ১০০ মিটার এলাকার মধ্যে জণগনের চলাচল ও যানবাহনের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।

এদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরী পরাজয়কে অনেকে অন্য চেখে দেখছেন। অনেকের মতে কংগ্রেসি বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের চক্রান্তের বলি হয়ে পরাজয় মুখ দেখতে হলো হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীকে।প্রশঙ্গ উল্লেখ্য, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক তথা অসম প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের প্রস্তাবে দলীয় প্রার্থীত্ব প্রদান করা হয়েছিল গৌহাটি হাইকোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী হাফিজ রশিদ। পরবর্তীতে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সরাসরি বিজেপি দল ও দলের প্রার্থী কৃপানাথের হয়ে নির্বাচনীয় প্রচারে ঝোর তুলেছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে এতে হাফিজের পরাজয়ের কারণ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Author

Spread the News