বিহারে চলছে প্রথম দফায় ১২১ আসনে ভোট
৬ নভেম্বর : চলছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোট হচ্ছে ১৮টি জেলার ১২১টি আসনে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১৩১৮ জন প্রার্থীর। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR)। প্রথম রাজ্য হিসেবে বিহারেই তা ঘোষণা হয়েছিল এবার। ভোটকে কেন্দ্রকে করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বুথগুলিতে। রয়েছে নজরদারি ক্যামেরাও।
এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে শাসক এনডিএ (NDA) ও বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধনের (Mahagathbandhan) মধ্যে। তবে নজর রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির (Jan Suraaj Party) দিকেও। কারণ প্রথমবার বিধানসভা ভোটের ময়দানে নেমেছে এই দল। প্রথম দফায় বিহারে ভোটারের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি। আজ পাটনা, দ্বারভাঙ্গা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর জেলায় হচ্ছে ভোট। এদিন সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে কোনও কোনও কেন্দ্রে বিকেল ৫টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ।
প্রথম দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীদের। যার মধ্যে রয়েছেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদের যাদবের কনিষ্ঠপুত্র তথা বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। তিনি লড়ছেন রাঘোপুর কেন্দ্রে। লালু প্রসাদের জ্যেষ্ঠপুত্র তেজ প্রতাপ নিজের জনশক্তি জনতা দল প্রতিষ্ঠা করে লড়ছেন মহুয়া কেন্দ্রে। বিহারে লালুর দুই পুত্রের লড়াই এবার বেশ চর্চায় রয়েছে। এদিকে, বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর প্রার্থী শ্রবণ কুমারেরও ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজই। নজরে রয়েছেন গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরও। বিহার ভোটের কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। মৈথিলী আলিনগর আসন থেকে লড়বেন।
এদিকে, প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিহারবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ‘গণতন্ত্রের উৎসবে’ পূর্ণ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘গণতন্ত্রের উৎসবে আজ বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা পূর্ণ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিন।’ যারা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে মোদির বার্তা, ‘মনে রাখবেন প্রথমে ভোট, তারপর আহার-বিশ্রাম।’

