শেষ মুহূর্তে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত শেফালির, ‘সচিন স্যারকে দেখে আলাদাই উৎসাহ পেয়ে গিয়েছিলাম…’

৩ নভেম্বর : গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু, লিগের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে যান প্রতীকা রাওয়াল। গোড়ালিতে চোট পান তিনি। আর তাতেই সুযোগ তৈরি হয়ে যায় শেফালি বর্মার। প্রতীকার জায়গায় সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ফাইনাল নজরকাড়া ইনিংস।
তাঁর ৭৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ভারতকে ভাল রানে পৌঁছে দেয়। সেমিফাইনালের আগে ২১ বছরের এই ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি বড় সাফল্য এনে দিল ভারতকে। অসাধারণ ইনিংসের জন্য ফাইনালে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতে নিলেন শেফালি। যা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। উচ্ছ্বসিত শেফালি তাঁর এই সাফল্যের জন্য পরিবার ও দলকে কৃতিত্ব দিলেন।

ম্যাচ শেষে শেফালি বলেন, “একদম। আমি শুরুতেই বলেছিলাম কিছু ভাল করার জন্য ঈশ্বর আমাকে পাঠিয়েছেন। আজ সেটা দেখাও গেল। আমি খুশি যে, শেষমেশ আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। শব্দের মাধ্যমে এই আনন্দ প্রকাশ করতে পারব না। কঠিন ছিল, কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। যে, আমি নিজের উপর বিশ্বাস রাখব। আমি যদি নিজেকে শান্ত রাখতে পারি, আমি যা কিছু করতে পারি। এই বিশ্বাস এবং ধৈর্য এবং আমার বাবা-মায়েরপ্রচুর সমর্থন। আমার বাবা-মা, আমার বন্ধু, আমার ভাই। আমার মনে হয় সবার অনেক সমর্থন ছিল। সবাই আমাকে বলত কীভাবে খেলতে হবে। আর এই ফাইনালটা আমার জন্য, পুরো দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজ আমি শুধু ভাবছিলাম কীভাবে রান করব। দলকে জিততে হবে। হ্যাঁ, অবশ্যই।”

তাঁর সংযোজন, “আজ আমার মন পরিষ্কার ছিল। আর আমি আমার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করে গেলাম। আমি খুব খুশি যে সেগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। আর সেই সঙ্গে, গোটা দল আমার সঙ্গে অনেক কথা বলছিল। হরমন সবসময় একজন সমর্থক। আর আমার মনে হয় সবাই আমাকে অনেক সমর্থন করেছেন। সকল সতীর্থ আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সাহায্য করেছেন। দল কেবল আমাকে আমার খেলা খেলতে বলছিল। আমার খেলা ছেড়ে না যেতে। তাই, আমার মনে হয় যখন কেউ এত স্পষ্ট ধারণা পায়, তখন সে খুব খুশি হয়। না, এটা আমার জন্য খুব স্মরণীয় মুহূর্ত।”

ফাইনাল ম্যাচে সচিনকে দেখে আলাদা উৎসাহ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শেফালি। তিনি বলেন, “যখন সচিন স্যারকে দেখি, আমি আলাদাই উৎসাহ পেয়ে যাই। আমি সচিন স্যারের সঙ্গে কথা বলতে থাকি। তিনি সবসময় আমাকে আত্মবিশ্বাস দেন। আর আমার মনে হয় ওঁরা কিংবদন্তি। ওঁরা ক্রিকেটের ওস্তাদ। আমি ওঁদের কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বললে আমি অনেক অনুপ্রেরণা পাই। তাঁদের দেখার পর আমি অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি।”
খবর : ABP anand.

Spread the News
error: Content is protected !!