পশু চিকিৎসা শিবিরে কৃষকের মধ্যে ওষুধ বণ্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ অক্টোবর : গ্রামের মাটির গন্ধ, কৃষকের ঘামের ফোঁটা আর পশুপালনের মমতায় গড়ে ওঠা অসমের অর্থনীতি পাচ্ছে নতুন গতি। সেই পরিবর্তনের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।আত্মনির্ভর অসম গড়ার পথে আরও এক সাহসী পদক্ষেপ! কৃষক ও পশুপালকদের আর্থিক স্থিতি ও জীবিকা সুরক্ষায় নয়া কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এলো অসম সরকার। রাজ্যের প্রতিটি কৃষক যেন হন সমৃদ্ধ, প্রতিটি গ্রাম যেন হয় উন্নয়নের কেন্দ্র  এই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার পাথারকান্দির নালুগাঁওয়ে এক পশু চিকিৎসা শিবির উদ্বোধন  করে নালু গাঁওয়ে আয়োজিত এক বিশেষ পশু চিকিৎসা শিবিরে উন্নয়নের নব দিগন্তের বার্তা দিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল।রাজ্যের পশুপালন ও মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে অসম সরকার। রাজ্যের পশুসম্পদ বৃদ্ধি ও কৃষকদের আর্থিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার পাথারকান্দি বিধানসভার নালুগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ পশু চিকিৎসা শিবির।

এই শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য ও পশুপালন দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মন্ত্রী বলেন অসমের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি ও পশুপালন উভয়ই অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। আত্মনির্ভর অসম গড়ার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হাত ধরে শুরু হয়েছে গ্রামীণ কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়ক

মন্ত্রী আরও জানান, গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারই তাদের জীবিকা নির্বাহে পশুপালনের ওপর নির্ভরশীল। গরু, ছাগল, মহিষ, হাঁস-মোরগ ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে যেমন স্থিতি এসেছে, তেমনি খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মাছ, মাংসের পাশাপাশি ডিমের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে অসমে মাসিক ডিম উৎপাদন প্রায় নব্বই লক্ষের কাছাকাছি হলেও দৈনিক চাহিদা প্রায় এক কোটিরও বেশি। এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সরকার ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।

মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের পশুপালন দফতরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকদের এই কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

এর আগে, পশু চিকিৎসা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে বিশেষজ্ঞ পশুচিকিৎসকদের দ্বারা গবাদি পশুর বিনামূল্যে টিকাকরণ, পরামর্শ প্রদান ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশুচিকিৎসক ডাঃ ত্রিদেব নারায়ণ দাস, ডাঃ মঈন উদ্দিন, ডাঃ মুন চৌধুরী প্রমুখ। স্থানীয় কৃষক সমাজ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্যিই গ্রামীণ জীবনের উন্নয়ন এবং কৃষকদের আত্মনির্ভরতার পথে এক বড়ো পদক্ষেপ।

Spread the News
error: Content is protected !!