মুক্তি পেলেও ফিরছেন না ১৫৪ জন ফিলিস্তিনি, যেতে হবে ‘অমানবিক’ নির্বাসনে

১৪ অক্টোবর : ইজরায়েলের সঙ্গে চলমান বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য এই মুক্তি মিশ্র অনুভূতির কারণ হয়েছে। কারণ, তাদের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরেছেন, তাদের প্রিয়জনদের তৃতীয় কোনও দেশে জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠানো হবে।

সোমবার ফিলিস্তিনি বন্দিদের গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে মুক্তি পাওয়া অন্তত ১৫৪ জন ফিলিস্তিনিকে ইজরায়েল নির্বাসনে পাঠাবে। গাজায় বন্দি ইজরায়েলিদের বিনিময়ে ইজরায়েল মোট ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ও প্রায় ১ হাজার ৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দিচ্ছে। এদিকে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ২০ জন ইজরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

কোথায় এই মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের পাঠানো হবে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আগের এক বন্দিমুক্তি চুক্তিতে ইজরায়েল ডজনখানেক বন্দিকে তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও তুরস্কসহ অঞ্চলের কয়েকটি দেশে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই জোরপূর্বক নির্বাসন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ এবং এতে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের নাগরিকত্বের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তারা এটিকে বন্দিবিনিময়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত মানদণ্ডের উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেছেন।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের জননীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামের কারমাউত আল জাজিরাকে বলেন, ‘এটা যে অবৈধ, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, এরা ফিলিস্তিনের নাগরিক। তাদের ছোট এক কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও এখন তাদের বড় এক কারাগারে পাঠানো হচ্ছে—নিজেদের সমাজ থেকে দূরে, এমন এক দেশে যেখানে তাদের ওপর নানা বিধিনিষেধ থাকবে। এটা অমানবিক।’
সূত্র : আল জাজিরা, খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।

Spread the News
error: Content is protected !!