শান্তি সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ ট্রাম্প-সিসির
১২ অক্টোবর : আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার মিশরের শার্ম-আল শেখে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। তাতে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল সিসি। সূত্রের খবর, শনিবার মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিশরে যাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
দীর্ঘ দু’বছর ধরে গাজায় হামলা চলছে। শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তাইনবাসী। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন তিনি। তার কয়েকটি মেনেই গাজায় শান্তি চুক্তির পথে হাঁটছে ইজরায়েল এবং হামাস। আপাতত গাজায় আর কোনও হামলা চালায়নি তেল আভিভ। আগামীকাল ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে গাজায় শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে হামাস গোষ্ঠী ও ইজরায়েল।
গাজায় শান্তি চুক্তির প্রস্তাবে ইজরায়েল ও হামাস রাজি হওয়ায় ট্রাম্পকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ফোনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই কী এই আমন্ত্রণ? জল্পনা চলছে। ‘শান্তি সম্মেলন’ প্রসঙ্গে মিশরের প্রেসিডেন্টের দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সোমবার বিকেলে শার্ম-আল শেখে ট্রাম্প ও সিসির যৌথ সভাপতিত্বে শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।‘
এনিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই সম্মেলনের লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধের অবসান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার করা। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার এক নতুন অধ্যায় উন্মোচন করা। ওই অঞ্চলের শান্তি ফেরাতে এবং বিশ্বজুড়ে সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরলস প্রচেষ্টার কথা মাথায় রেখেই এই সম্মেলন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার পর গত শুক্রবার চুক্তির একটি অংশ বাস্তবায়িত হয়। যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়ে গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইজরায়েল। যার জেরে গাজার ঘরছাড়া বাসিন্দারা ফের বোমা বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরতে শুরু করে।
তবে রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি চুক্তিতে সই করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে হামাস। চুক্তির শর্ত নিয়ে মতবিরোধের জেরে ফের আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে গাজা উপত্যকায়। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, চুক্তিতে হামাসকে গাজা ছেড়ে যাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস।