ব্যাপক অনুপ্রবেশের কারণে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
১১ অক্টোবর : ভারতে হিন্দু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে, লক্ষণীয় বৃদ্ধি ঘটেছে মুসলিমদের। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় শুক্রবার এমনটা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জন্মহার নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁর কথায়, অনুপ্রবেশ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যতদিন না দেশের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে যুব সমাজ এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং এর থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব না।
তিনি জানান, ১৯৫১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ, মুসলিমদের ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশে, আর মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলে চিহ্নিত করেন শাহ। তাঁর মতে, এটা অনুপ্রবেশের কারণে হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, আর হিন্দু জনসংখ্যা ৪.৫ শতাংশ হারে কমেছে। এটি শুধুমাত্র প্রজনন হারের কারণে নয়, অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে বড় আকারে অনুপ্রবেশ হয়েছে, যার ফলে এই পরিবর্তন দেখা গিয়েছে।’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কেও আলোচনায় মুখ খোলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য করা হয়েছে।’ ভোটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রসঙ্গে শা বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ইস্যু, রাজনৈতিক নয়। যদি অনুপ্রবেশকারীকে প্রশাসন চিনতেই না পারে, তবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে কীভাবে?’ তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসেবে দেখে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নতুন কিছু নয়, ১৯৫১ সাল থেকেই চলে আসছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হল একটি নিরপেক্ষ ও সঠিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।