হাইলাকান্দিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ভাসানউপস্থিত ছিলেন ডিসি, এসএসপি ও পুরপতি

বরাক তরঙ্গ, ৩ অক্টোবর : টক-ঝাল -মিষ্টি অনুভব নিয়ে এ বছর সম্পন্ম হলো দুর্গোৎসব। অষ্ঠমী ও নবমী তিথিতে বরুন দেবতা রুষ্ট ছিলেন। দশমীতেও রোদের লুকোচুরি অব্যাহত ছিল। আর তারই মধ্যে হাইলাকান্দি গান্ধীঘাটে রাত দেড়টা অবধি বিসর্জন হল ষাঠটি দেবী প্রতিমা। বৃষ্টির জন্য এ বছর কিছুটা দেরিতে শোভাযাত্রা শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ মধ্যরাত গড়ায় নিরঞ্জনপর্ব। আর শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা বিসর্জন ঘাটে উপস্থিত থেকে যাবতীয় পর্ব সম্পন্ন করেন। শেষে, জেলা কমিশনার অভিষেক জৈন, সিনিয়র পুলিশ সুপার অমিতাভ সিনহা ও পুরপতি মানব চক্রবর্তী বিসর্জন পর্বে সেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুরসভা সেচ্ছাসেবক, পুলিশ কর্মী, সিআরপিএফ কর্মী সহ স্বাস্থ্য বিভাগ, এস ডি আর এফ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

হাইলাকান্দিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ভাসানউপস্থিত ছিলেন ডিসি, এসএসপি ও পুরপতি

এদিন দুপর থেকেই বিভিন্ন ও বাড়ি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব শুরু হয়। দিনের শেষে বৃষ্টি নেমে আসায় কিছুটা বাঁধার সৃষ্টি হয়। কিন্তু সকাল থেকে ওর প্রতি মানব চক্রবর্তী গান্ধী ঘাটে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থেকে যাবতীয় কার্যসূচীর তদারকি করেন। সন্ধ্যায় জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেন। পুরপতি ও সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তবে এদিন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় ও প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল রায়কে বিসর্জন ঘাটে দেখা যায়নি। অবশ্য বিজেপি নেত্রী মুন স্বর্ণকার পুরোসময় উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিসর্জন ঘাটে আয়োজন হয়। অন্যদিকে, শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পরিক্রমা করে রাত দেড়টা নাগাদ ৬০টি দেবী প্রতিমা স্বপরিবারে বিসর্জন নির্ভিগ্নে সম্পন্ন হয়।

এদিকে, স্থানীয় ক্যাবুল টিভির সৌজন্যে অনেকেই এদিন বাড়িতে বসে বিসর্জন পর্ব উপভোগ করেন।এদিন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পুরপতি মানব চক্রবর্তী।

Spread the News
error: Content is protected !!