কাফ সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু, ২২টি ব্যাচ নিষিদ্ধ

২ অক্টোবর : কাফ সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু। অসুস্থ কমপক্ষে ১০ শিশু। তাও ওষুধের দোষ মানতে নারাজ ছিলেন চিকিৎসক। কাফ সিরাপ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, তা প্রমাণ করতে ওষুধ খান খোদ চিকিৎসক। আর এরপরই তিনি নিজেও সংজ্ঞা হারালেন। আট ঘণ্টা বাদে তাঁকে গাড়ি থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে।

কেসন ফার্মা (Kayson Pharma) নামক একটি ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানির তৈরি জেনেরিক কাফ সিরাপ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক শিশু। গত সোমবার ৫ বছরের এক শিশু ওষুধটি খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যাওয়ায় বিষয়টি সামনে আসে। জানা গিয়েছে, নীতিশ নামক ওই শিশু রাজস্থানের শিকর জেলার বাসিন্দা। সর্দি-কাশি হয়েছিল বলে তাঁর মা-বাবা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়।

সেখানে চিকিৎসক একটি কাফ সিরাপ লিখে দেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শিশুটিকে তাঁর মা ওষুধ খাওয়ান। রাত তিনটে নাগাদ শিশুটি ঘুম থেকে উঠে পড়ে এবং হেঁচকি তুলতে শুরু করে। তাঁর মা জল খাইয়ে শুইয়ে দেয়।

এরপর আর শিশুটি ওঠেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হতেই আরেক অভিভাবকও জানান যে তাদের ২ বছরের সন্তানও কাফ সিরাপ খাওয়ার পরই গত ২২ সেপ্টেম্বর মারা যায়। তাদের বাকি দুই শিশুও দীর্ঘক্ষণ ঘুমের ঘোরে ছিল। তাদের সকলেরই ঘুম থেকে ওঠার পর লাগাতার বমি হচ্ছিল।

এরপরে ফের সম্রাট নামের ২ বছরের শিশু অজ্ঞান হয়ে যায় এবং তাঁর মৃত্যু হয়। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডাঃ তারাচাঁদ যোগী কিছুতেই মানতে নারাজ ছিলেন যে তাঁর লেখা ওষুধ খেয়েই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। ওষুধটি সুরক্ষিত প্রমাণ করতে তিনি নিজে এক ডোজ খান এবং এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককেও দেন। ভরতপুরের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে রওনা দিতেই মাঝপথে তাঁর চোখ জুড়িয়ে আসে।

মৃত্যু ও শিশুদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনার পরই রাজস্থান সরকারের তরফে ওই কাফ সিরাপের ২২টি ব্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিস্ট্রিবিউশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১.৩৩ লাখ কাফ সিরাপের বোতল রোগীদের দেওয়া হয়েছে।

Spread the News
error: Content is protected !!