১০ সপ্তাহ গাজা অবরুদ্ধ করে অভিযান ইজরায়েল, সমালোচনা ব্রিটেন-কানাডা-ফ্রান্সের
২০ মে : খাদ্য নেই, ওষুধ শূন্য, জ্বালানি শেষ, পরিশ্রুত পানীয় জলও দুষ্প্রাপ্য। ইসরায়েলের লাগাতার আক্রমণে গাজাজুড়ে চলছে অনাহার। ধুঁকছে মানুষ। ১০ সপ্তাহ গাজা অবরুদ্ধ করে অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েল। তারপরেও যুদ্ধলিপ্সায় ভরপুর ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটেন ফ্রান্স ও কানাডা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এক যৌথ বৃদ্ধিতে নেতানিয়াহুর গাজায় যুদ্ধ সম্প্রসারণের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইজরায়েল যদি তাদের অবস্থানে বদল না ঘটায় তাহলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বাড়লেও সামরিক অভিযান থেকে পিছু হটছে না ইজরায়েল। সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা পুরো গাজার দখল নেব।’ গাজায় খাদ্যসংকট নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকার করেছেন বহু মানুষ গাজায় অনাহারে আছে। পোপ চতুর্দশ লিও বলেছেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় কষ্ট পাচ্ছেন আমাদের ভাই বোনেরা। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু কূটনীতিতেও যে কম যান না তা বোঝাতে গাজা উপত্যকায় ন্যূনতম খাদ্য সরবরাহে অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এটা দুর্ভিক্ষ রোধের পন্থা, তেমনভাবে দুর্ভিক্ষ হলে তিনি বিশ্বে সমালোচিত হবেন। এই চরম দুর্দশাতেও যুদ্ধ বন্ধের কথা কিন্তু একবারও শোনা যায়নি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। টেলিগ্রামে এক ভিডিও পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘লড়াই তীব্র আকার নিয়েছে, আমরা সমস্ত গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেব, আমরা হাল ছাড়ছি না, সফল হতে গেলে আমাদের এমন ভাবে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের থামানো না যায়।’
