তারাপুরের সুকান্ত লেনের ৫৯টি পরিবারের মিটার বিনামূল্যে পরিবর্তনের দাবি
বরাক তরঙ্গ, ১৯ জুন : অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর কাছাড় জেলা কোর্ডিনেশন কমিটির এক প্রতিনিধি দল এপিডিসিএল শিলচর ডিভিশন -২ এর এজিএম এর অনুপস্থিতিতে এসডিই এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারাপুরের সুকান্ত লেনের ৫৯ টি পরিবারের বৈদ্যুতিক মিটার বিনামূল্যে পরিবর্তনের দাবি জানায়। মঙ্গলবার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত সুকান্ত লেনের রিন্টু কুমার নাথ, আশিস দে, শঙ্কর নাথ, কমল বর্মন ও রাহুল নাথ বলেন গত ২০ মে তাদের এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে তখন এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে লাইন মেরামতের জন্য বিভাগ থেকে লোক পাঠানো হয়। তারা বৈদ্যুতিক তার মেরামতির পর বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করতেই সে এলাকার ৫৯ টি ঘরের স্মার্ট মিটার নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও অনেকের অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়। মিটার নষ্ট হওয়া বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না হলেও তারা রিচার্জ করতে পারছেন না এবং তাদের কী পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে বা বিল কত হচ্ছে তাও মোবাইল ফোনের নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন থেকে দেখা যাচ্ছে না। তারা তৎক্ষণাৎ বিষয়টি এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবিহিত করালে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে নতুন করে স্মার্ট মিটার কিনতে বলা হয়, যেগুলোর এক একটির দাম সাড়ে আট হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক তার মেরামতের জন্য পাঠানো অদক্ষ কর্মীদের ত্রুটির ফলে যেহেতু এই ঘটনা ঘটেছে তাই গ্রাহকরা কেন এর বোঝা বহন করবেন তারা এই প্রশ্ন করলে বিভাগীয় কর্মকর্তারা জানান যে স্মার্ট মিটার তাদের কাছে নেই। সরকার বেসরকারি কোম্পানিকে স্মার্ট মিটারের দায়িত্ব দিয়েছে। স্মার্ট মিটার এপিডিসিএল বা গ্রাহকদের ত্রুটির কারণে নষ্ট হলে কোম্পানি দায়িত্ব নেবে না। ফলে গ্রাহকদের তা কিনতে হবে।
এই ঘটনায় এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মানুষেরা হতবাক হয়ে যান। তারা বলেন তাদের ক্রয় করা ডিজিটাল মিটার সরিয়ে বেসরকারি কোম্পানিকে যেহেতু বিদ্যুতের মিটার পরিবর্তনের দায়িত্ব এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষ দিয়েছে তাই মিটারের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিনিধি যথাক্রমে কমল চক্রবর্তী, চাম্পালাল দাস, হিল্লোল ভট্টাচার্য, অরিন্দম দেব প্রমূখ এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষকে আজ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে জানান যে বিদ্যুতের বিল যেহেতু গ্রাহকরা এপিডিসিএল বিভাগের কাছে প্রদান করেন তাই মিটারের দায়িত্ব এপিডিসিএল নেবে না কেন? এতদিন যেভাবে আইন মোতাবেক বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে মিটারে গলযোগ হলে তা সারাই করা হত বা পরিবর্তন করে দেওয়া হতো ঠিক সেভাবেই করে দিতে হবে। মিটার সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে তা পরিবর্তন হয়নি কাজেই বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে যতদিন গ্রাহকদের বিনামূল্যে মিটার প্রদান করা হচ্ছে না ততদিন তাদের বিনা মাশুলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। উল্লেখিত বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।