বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সহবাস, ২০ বছর কারাবাস যুবকের

বরাক তরঙ্গ, ৭ ডিসেম্বর : বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে যৌনাচারের মামলায় যুবককে ২০ বছর কারাবাসের সাজা শোনালো কাছাড়ের স্পেশাল জজ (পক্সো) নারায়ণ কুরির আদালত। সাজাপ্রাপ্ত যুবক সুরজ বড়াইক (২৩) উধারবন্দ থানা এলাকার চণ্ডিঘাট তৃতীয় খণ্ড ঘুঙ্গুরবন্দের বাসিন্দা।

বছর ১৭-র নাবালিকার সঙ্গে সুরজ যৌনাচার চালায় ২০২২ সালে। ওই নাবালিকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কের দৌলতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বেশ কয়েকবার এভাবে শারীরিক সম্পর্কের দরুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা। যদিও এ নিয়ে কিছুই জানতে পারেননি নাবালিকার অভিভাবকরা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর নাবালিকা একদিন অসুস্থতা বোধ করলে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। সেটা ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনা। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে সুরজের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌনাচারেী কথা খোলসা করে। এই অবস্থায় নাবালিকার অভিভাবকরা ব্যাপারটা জানান সুরজের অভিভাবক সহ অন্যান্য মাতব্বরদের। এনিয়ে বসে বিচারসভা। যদিও বিচারসভায় সুরজ ওই নাবালিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও যৌনাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এতে নাবালিকার অভিভাবকরা থানায় দায়ের করেন এজাহার। এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত চালায়। এদিকে, এসবের মাঝে কয়েক মাস পর নাবালিকা জন্ম দেয় এক কন্যা সন্তানের। যদিও দিন পাঁচেক পর ওই সন্তানের মৃত্যু ঘটে।

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সহবাস, ২০ বছর কারাবাস যুবকের

এদিকে, পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ার পর মামলা গড়ায় আদালতে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত গত ৪ ডিসেম্বর সুরজকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর সাজা ঘোষণা করা হয় ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার। আদালত সুরজকে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় ২০ বছর সশ্রম কারাবাসের সাজা শুনিয়ে সঙ্গে জরিমানা করেছে ১০ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড।

Author

Spread the News