নয়া ভাইরাসের দাপট, মৃত্যু ১৫ জনের, ১৭টি দেশে সতর্কতা জারি
৪ ডিসেম্বর : করোনার পর নয়া ভাইরাসের দাপট শুরু বিশ্বে! এবার আতঙ্ক ছড়াল মারবার্গ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমানে। মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে বলেই ১৭টি দেশে জারি হল সতর্কতা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মূলত আফ্রিকার রুয়ান্ডায় হু-হু করে ছড়াচ্ছে মারবার্গ ভাইরাস। যাকে ‘ব্লিডিং আই’ ভাইরাস বলেন বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রুয়ান্ডার ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত দু’মাসের মধ্যে যে গতিতে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতেই নতুন করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসকদের কপালে।
মারবার্গ ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়াতেই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আফ্রিকার রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, গ্যাবন, কেনিয়া, উগান্ডার পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কিউবা, ডমিনিকান রিপাবলিক, একুয়েডর, গুয়েনা, পানামা এবং পেরুতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে পর্যটকদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মারবার্গ ভাইরাস বাদুড় থেকে মূলত ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া, পেট ব্যথা, ওজন হ্রাস, মানসিক অস্থিরতার মতো উপসর্গ দেখা দেবে। আক্রান্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই রক্তবমি, রোগীর চোখ, নাক, কান, মুখ এবং মহিলাদের যোনি থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
১৯৬১ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রথমবার মারবার্গ ভাইরাস ছড়িয়েছিল। এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। সাধারণত অন্যান্য ভাইরাসের ক্ষেত্রে যেভাবে চিকিৎসা করা হয়, এক্ষেত্রেও সেভাবেই রোগীদের দেখভাল করা হয়।
খবর : আজকাল ডট ইন।