প্রবল বৃষ্টির জেরে মৃত্যুমিছিল কলকাতায়
২৩ সেপ্টেম্বর : উৎসবের আবহে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাহাকার খাস কলকাতায়। একরাতেই অতি প্রবল বৃষ্টির জেরে মৃত্যুমিছিল শহরে। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়।
সূত্রের খবর, মৃত ন’জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই হয়েছে। আরেকজনের দেহে জমা জলে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, ওই ব্যক্তিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন নেতাজিনগরের বাসিন্দা, একজন কালিকাপুরের বাসিন্দা, একজন বালিগঞ্জ প্লেস (গড়িয়াহাট) এর বাসিন্দা, একজন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা, একজন একবালপুরের বাসিন্দা, একজন হরিদেবপুরের বাসিন্দা, একজন বেহালার ও একজন শেক্সপিয়ার সরণির বাসিন্দা।
দুর্গাপুজোয় বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই ছিল। কিন্তু রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার যে ছবি দেখা গেল খাস কলকাতায়, তা যেন সকলের কাছে অভাবনীয়। অনেকেরই মতে, গত এক দশকে শহরের এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা রীতিমতো জলে ভাসছে।
একটানা ভারী বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জল কলেজ স্ট্রিটে। বহু দোকানপাট জলমগ্ন। জল ঢুকেছে বহু ক্যাফে, বিয়ের দোকানে। পুজোর মুখে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হলেন ব্যবসায়ীরা। দোকানে জল ঢুকে প্রচুর বই নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানীয়দের মতে, আমফানের সময়েও এত ক্ষতি হয়নি।

হাতে আর কয়েকদিন। তারপরেই ঠাকুর ঢুকবে মণ্ডপে মণ্ডপে। পুজো মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও চলছিল জোরকদমে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে একাধিক পুজো মণ্ডপেও জল ঢুকেছে। একাধিক এলাকায় পুজো মণ্ডপের বেহাল দশা। যা ঘিরেও মাথায় হাত শিল্পীদের।