পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে, এনসিআরবি-র রিপোর্ট

১ অক্টোবর : নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের এক দশকে (২০১৪-২৩) পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে! এনসিআরবি-র রিপোর্ট বলছে, দেশে সামগ্রিক আত্মহত্যার ঘটনার ৮.১ শতাংশ পড়ুয়া। পড়ুয়াদের আত্মহত্যার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরের তিনটি স্থানে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার কারণ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া। এছাড়া রয়েছে পারিবারিক সমস্যা এবং দীর্ঘ অসুস্থতা।

সামগ্রিক ভাবে ২০১৪-২৩-এ ভারতে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪১৮টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতে ১৩০৪৪ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৮৯২। মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম বছরে, ২০১৪ সালে দেশে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ৮০৩২ জন পড়ুয়া। দেশের সামগ্রিক আত্মহত্যার নিরিখে ৬ শতাংশের সামান্য বেশি।
অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন এনসিআরবি’র অপরাধের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, দেশে সামগ্রিক আত্মহত্যায় শীর্ষে শ্রমিক ও খেতমজুরেরা। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আত্মঘাতীদের মধ্যে ২১ শতাংশেরও বেশি দৈনিক পারিশ্রমিক নির্ভর শ্রমিক এবং খেতমজুর। মহিলাদের আত্মহননের পরিসংখ্যান বলছে, এ ক্ষেত্রে শীর্ষে গৃহবধূরা। দ্বিতীয় স্থানে ছাত্রীরা। তৃতীয় স্থানে দৈনিক পারিশ্রমিক নির্ভর শ্রমিক এবং খেতমজুরেরা।