বৃদ্ধ মা-বাবার বয়ান শুনলে গা শিউরে ওঠে, বন্যার জলে রেখে এল ছেলে 

গ্ৰামবাসীর বিচারের মাধ্যমে বৃদ্ধার ভাইয়ের হাতে সমঝে দেওয়া হয়

বরাক তরঙ্গ, ৮ জুন : বড়খলা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত তাপাং ব্লকের অধীনে থাকা রতনপুর কোলোনির কীর্তনের মাঠের সর্বজনীন কমিউনিটি হলে স্থানীয় বাসিন্দা অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবাকে পরিকল্পনামাফিক বন্যার জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টাকারী পুত্র রাসমণি দাসের বিরুদ্ধে কয়েকশো গ্ৰামবাসী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে বিচারের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে বৃদ্ধ বাবা রমন দাস (৭০) ও মা মনমালা দাস (৬৫) দুইজনকে রাসমণির মামার হাতে সমঝে দেওয়া হয়। এদিন বিচারে উপস্থিত তাপাং-বড়সাঙ্গন জিপির সদ্য জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া নিপেন্দ্রচন্দ্র দাস বলেন, রাসমণি দাস বন্যার এইসময়  বড়সাঙ্গনে থাকা নিজস্ব বিলের জলাশয়ে মধ্যে থাকা একটি মাচাঙ্ক ঘরের ভেতরে তিন-চারদিন থেকে দু’জনকে ঘরের ভেতরে বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় এলাকার আশপাশের ছেলেরা বিষয়টি জেনে সঙ্গে-সঙ্গে সেখানে গিয়ে তাঁদের তুলে নৌকায় করে নিয়ে আসেন ও তাঁদের দেওয়া বিবরণ শুনে গ্ৰামের মানুষদের নিয়ে বিচার বসানো হয়, বিচারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপস্থিত বৃদ্ধা মনমালা দাসের ছোট ভাই মোহনলাল দাসকে সর্বসম্মতিক্রমে বৃদ্ধ বড় বোন ও জামাইকে একসঙ্গে আজীবন ঘরে রাখার জন্য সমঝে দেওয়া হয়। ছেলে রাসমণি দাস ও তার স্ত্রী প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে থাকতো, এই ধরনের ন্যাক্কার জন্য ঘটনা বিগত দিনে কোনওদিন এই এলাকায় ঘটে  নাই, সত্যিকারের অর্থে পশুতূল্য ছেলে রাসমনি দাসকে আইনগতভাবে কঠিন শাস্তির প্রয়োজন ছিল।

সমাজকর্মী সজলকান্তি দাস বলেন, এই গ্ৰামের সৃষ্টির থেকে আজ অবধি এই রকম লজ্জাজনক ঘটনার কথা শুনা যায় নাই, তিনি ধন্যবাদ জানান  গ্ৰামের পরোপকারী ছেলেদের যারা এই জলাশয় বিলের মধ্যের থেকে অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে তুলে এনে নতুন জীবন দান দেওয়া জন্য।

বৃদ্ধ মা-বাবার বয়ান শুনলে গা শিউরে ওঠে, বন্যার জলে রেখে এল ছেলে 

এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উক্ত জিপির প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তপন দাস, বড়সাঙ্গন জিপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নয়নতারা দাস, দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রামপ্রসাদ দাস, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য সুকুমার দাস, রোজকান্দি জিপির সদস্য অজিত দাস সহ শুকলাল দাস, সৌমেন্দ্র দাস, সৌরভ দাস, রাজীব দাস, মহানন্দ দাস, আইনজীবী বাবুল দাস, রথীকান্ত দাস, মনোরঞ্জন দাস শিবু দাস প্রমুখ।

Author

Spread the News