ওয়াকফ সংশোধনী বিল : বড়সড় ধাক্কা জেডিইউ-তে

৬ এপ্রিল : সংসদে পাস হয়েছিল আগেই। এবার সংশোধিত ওয়াকফ বিলে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শনিবার এই বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি মিলেছে বলে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, রাষ্ট্রপতির সবুজ সঙ্কেত মেলায় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আইনে পরিণত হতে বাধা থাকল না।

যদিও ইতিমধ্যেই উল্লিখিত বিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস, আপের মতো দল।

চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে ওয়াকফ বিলে সমর্থনের জেরে বেকায়দায় পড়েছে বিজেপির দুই শরিক জেডিইউ ও এলজেপি (রামবিলাস)। একের পর এক সংখ্যালঘু নেতার ইস্তফায় ধাক্কা খেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। জোটধর্ম বজায় রাখতে নীতি বিসর্জন? কীসের স্বার্থে? কেন মুসলিম বিরোধী ওয়াকফ বিল সমর্থন করা হল? দলের অন্দরেই এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে নীতীশ কুমার, চিরাগ পাসোয়ানদের। জেডিইউতে রীতিমতো ভাঙন শুরু হয়েছে। সংখ্যালঘু শাখার একের পর এক নেতা পদত্যাগ করছেন। দলত্যাগ করছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৬ জন সংখ্যালঘু নেতা দলের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। চরম অস্বস্তির মুখে পড়ে শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের সংখ্যালঘু সেল। সেখানে আশ্বাস দেওয়া হয়, নীতীশ সংখ্যালঘুদের পাশে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। ওয়াকফ বিলে মুসলিমদের কোনও ক্ষতিই হবে না। বরং লাভ হবে।

কিন্তু একের পর এক সংখ্যালঘু নেতাদের পদত্যাগ ও তাঁদের অভিযোগ নিয়ে দলের বক্তব্য জানতে চেয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন নেতারা। ফলে মাঝপথেই সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করে দিতে হয় নেতৃত্বকে। অন্যদিকে, রাজ্যে আসন্ন ভোটে জেডিইউ বড়সড় ধাক্কা খাবে বলে দাবি করেছেন দলের পদত্যাগী নেতারা। তাঁরা বলছেন, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক হারাতে হবে জেডিইউকে।

ওয়াকফ সংশোধনী বিল : বড়সড় ধাক্কা জেডিইউ-তে

বিজেপির আর এক শরিক লোকজনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) একইরকম সঙ্কটে। ওয়াকফ বিলে সমর্থন যে দলের সংখ্যালঘু সমর্থদের ক্ষুব্ধ করেছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং চিরাগ । তিনি বলেছেন, মুসলিম জনতা আমার উপর রাগ করলে সেটা মাথায় পেতে নিলাম। আমার ভুল বুঝবেন না। আমার বাবা যেভাবে আপনাদের পাশে থেকেছেন, আমিও সেইভাবেই আপনাদের সবরকম ভাবে সাহায্য করেছি এবং করব। কিন্তু দলের অন্দরেও অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছে চিরাগকে। বিক্ষুদ্ধদের বক্তব্য, বিহারে ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগে ওয়াকফ বিল নিয়ে মুসলিম জনতাকে ভালো করে বোঝানোর আগেই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হল না। এরইমধ্যে দলের সংখ্যালঘু শাখার জেলা সভাপতি আলি আলম ইস্তফা দিয়েছেন।

Author

Spread the News