ভিএইচপি পশ্চিম কাছাড় জেলার দু-দিবসীয় পরিষদ শিক্ষা বর্গ সম্পন্ন বিহাড়ায়

অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ২ জুন : শিক্ষার্থীরা যা যা শিখেছেন তা শারীরিকভাবে ও সৎসঙ্গ প্রদর্শনের মাধ্যমে ভিএইচপি অর্থাৎ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দু’দিবসীয় পরিষদ শিক্ষা বর্গের সমারোপ হল কাছাড়ের বিহাড়ায়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পশ্চিম কাছাড় জেলার দুদিবসীয় পরিষদ শিক্ষা বর্গ সম্পন্ন হয় রবিবার। এদিন প্রথমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। তারপর প্রধান অতিথি বিহাড়া সরস্বতী বিদ্যা নিকেতনের সম্পাদক তথা সমাজসেবী পঙ্কজকুমার দেব বক্তব্য রাখেন। তারপর বৌদ্ধিক প্রদান করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত সংগঠন মন্ত্রী দিলিপ কুমার দেব। শিক্ষা বর্গের প্রতিবেদন পাঠ করেন জেলা সভাপতি বিধুভূষণ দেব। ভারত মাতার আরতির মাধ্যমে সমারোপ হয়।

উল্লেখ্য, কাছাড়ের বিহাড়া সরস্বতী বিদ্যা নিকেতনে গত ৩০ মে থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পশ্চিম কাছাড় জেলার দু-দিবসীয় পরিষদ শিক্ষা বর্গের সূচনা হয়। এতে জেলার প্রায় ৪০ জন পুরুষ ও মহিলা অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য উপস্থিত সংখ্যা কিছুটা কমে যায়। গত দু’দিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা ১৫মিনিট পর্যন্ত জানকারী সত্ৰ, সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কৃতি সত্ৰ, দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বৌদ্ধিক সত্ৰ, দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চর্চা সত্ৰ, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ৪৫মিনিট পর্যন্ত প্রবোচন এবং এরপর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সত্রের বিষয় ছিল ‘কার্যকর্তার গুণাবলী’ , ‘ব্রত ও পর্বের পিছনে বিজ্ঞান’, ‘আয়াম ও গতিবিধি’, ‘সাংস্কৃতিক ভারত দর্শন’, ‘সৎসঙ্গ’, ‘মঠ মন্দির সাধু সন্তদের দৃষ্টিকোণ’, ‘মিডিয়া ও প্রচার’, ‘গুরুজী ব্যক্তি ও কাজ’, ‘ভারতের ইতিহাস, পরাক্রম ও সংঘর্ষময়’, ‘সামাজিক সমরসতা’, ‘ধর্ম প্রচার’ ‘সাংগঠনিক পরিকাঠামো,’ ‘শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর জীবনালেখ্য’, ‘স্বামী বিবেকানন্দ’, ‘ছত্রপতি শিবাজী’, ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেবা কাজের সংকল্পনা ও আত্মনির্ভর ভারত’, ‘হিন্দু সংস্কৃতির বিশেষতা’ সহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।

ভিএইচপি পশ্চিম কাছাড় জেলার দু-দিবসীয় পরিষদ শিক্ষা বর্গ সম্পন্ন বিহাড়ায়

১ মে, রবিবার বর্গ সমারোপ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দু দিবসীয় বর্গ সম্পন্ন হয়। সোমারোপ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রান্ত কর্মকর্তা প্রদীপ বৈষ্ণব। উপস্থিত ছিলেন পরিষদের প্রান্ত কর্মকর্তা রথিশ দাস, নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যা পম্পীরানি দাস, সরস্বতী বিদ্যা নিকেতনের প্রধান আচার্য বনমালী শুক্লবৈদ্য এবং অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। জেলা সম্পাদক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাসের ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য এবং তৎপর ভারত মাতার আরতির মাধ্যমে সমারোপ অনুষ্ঠান সমাপন হয়।

Author

Spread the News