বিশ্ববিদ্যালয়ে পাণ্ডুলিপি বিষয়ক দুই দিনের কর্মশালা

বরাক তরঙ্গ, ১৩ মার্চ : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাণ্ডুলিপি বিষয়ক দুই দিনের কর্মশালার অন্তিম দিন ছিল বুধবার। তৃতীয় শৈক্ষণিক সত্রের সত্রাধ্যক্ষ ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ প্রফেসর শান্তি পোখরেল। পাণ্ডুলিপিতে পুষ্পিকার গুরুত্ব বিষয়ে তিনি বক্তব্য প্রদান করেন। পাণ্ডুলিপির অন্তিমাংশে রচনাকার, লিপিকারের নাম, স্থান, তিথি, উদ্দেশ্য ইত্যাদি সম্বলিত যে পুষ্পিকা অংশ, তার বিভিন্ন প্রকার, সময়জ্ঞান, বর্তমানে তার গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বলেন। তিনি তার সংগ্রহে থাকা পাণ্ডুলিপি ও প্রদর্শন করেন। পঞ্চম সত্রে অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অর্জুনদেব সেনশর্মা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার বিষয় ছিল সিলেটি নাগরী লিপি। তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সিলেটি নাগরী লিপির উদ্ভব ও বিকাশের কথা তুলে ধরেন। এই লিপির সমস্ত বর্ণমালার লিখন পদ্ধতি ও তিনি প্রদর্শন করেন। ষষ্ঠ শৈক্ষণিক সত্রে অন্তর্জালমাধ্যমে যুক্ত ছিলেন কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অপূর্বজ্যোতি মজুমদার। তিনি ডিজিটাল মাধ্যমে পাণ্ডুলিপির সংরক্ষণ বিষয়টি উপস্থাপন করেন। বর্তমান অসমে কোন কোন স্থানে এবং কীভাবে ডিজিটাল উপায়ে পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত হয়েছে, এ বিষয়ে কী কী প্রতিকূলতা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো কী করা যেতে পারে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তৃত আলোচনা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পাণ্ডুলিপি বিষয়ক দুই দিনের কর্মশালা

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু চক্রবর্তী ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের লিপি যথা বাংলা, ওড়িয়া, অসমিয়া, নেওয়ারি, তিব্বতি, কন্নড় ইত্যাদি লিপির বিষয়ে বিস্তৃত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পাণ্ডুলিপি বিষয়ক দুই দিনের কর্মশালা

কর্মশালার সমাপন সত্রে বিশিষ্ট অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন ভিজ্যুয়াল আর্টস বিভাগের অধ্যাপক নরেন্দ্র টি। এই সত্রে কার্যশালায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা তাদের অনুভব ব্যক্ত করেন। কর্মশালার সংযোজক ড. গোবিন্দ শর্মা দুই দিন ব্যাপী কার্যশালার গুরুত্ব উপস্থাপন করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরপর অংশগ্রহণকারীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় এবং ঐক্যমন্ত্র পাঠের দ্বারা কর্মশালা সমাপ্ত হয়। খবর : পিএনসি, শিলচর।

Author

Spread the News