জেলায় যাত্রা শুরু ডিইআইসি-র, উদ্বোধনী দিনে ২৪৯ শিশুর চিকিৎসা
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ ডিসেম্বর : কাছাড় জেলার স্বাস্থ্য পরিসেবায় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধি ঘটল। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ডিস্ট্রিক্ট আর্লি ইন্টারভেনশন সেন্টার (ডিইআইসি)। শিলচর ট্রাঙ্ক রোডস্থিত জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালকের বাংলো চত্বরে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রারম্ভ করেন কাছাড় জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব। প্রসঙ্গত, জেলা হাসপাতাল (সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতাল) -এর বর্ধিত অংশ হিসেবেই এই ডিইআইসি প্রতিষ্ঠান। এদিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে পরিষেবার যাবতীয় খতিয়ে দেখেন তিনি এবং বলেন, বিশেষ করে শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি শিশুদের এই চিকিৎসালয় জেলার স্বাস্থ্য পরিসেবার জন্য এক মাইল ফলক। এই হাসপাতাল থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রাপ্ত বা শনাক্ত হওয়া রোগীদের চিকিৎসা করা হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনবোধে উচ্চ হাসপাতালে রেফারেল করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিড় অনেকটা কমবে।
ডিস্ট্রিক্ট আর্লি ইন্টারভেনশন সেন্টার কাছাড়ের স্বাস্থ্য পরিসেবার জন্য মাইলফলক : মৃদুল যাদব
জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মন, সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতাল সুপার ডাঃ অরূপ পাটোয়া, মহামারী (ইপিডেমিক) স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শিবানন্দ রায়, জেলা টিকাকরন আধিকারিক ডাঃ আব্দুল সালাম শেখ, জেলা এন এইচ এম-র কর্মসূচি প্রবন্ধক রাহুল ঘোষ, ডিআইসি-র ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার ইকবাল বাহার লস্কর প্রমুখের উপস্থিতিতে এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরে এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচী (আরবিএসকে)-র অধীনে শনাক্ত হওয়া শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
জেলার ৪টি স্বাস্থ্য খণ্ড থেকে এদিন (লক্ষীপুর ৪৯, সোনাই ৪৮, বিক্রমপুর ৪৩ ও জালালপুর ১০৯) মোট ২৪৯ শিশুর চিকিৎসা সহ বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়। চিকিৎসা প্রদানে ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবানন্দ রায়, চক্ষু সহযোগী শরিফুল হক, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আব্দুল সালাম শেখ ও ডাঃ কেশব পাটিকর, নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ রিমা পাটোয়া, দন্ত বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবশুভ্র কুন্ডু ও ডাঃ রাকেশ নারুকা, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সন্দীপ রায়, অডিওলোজিস্ট আলোক বিশ্বাস, ফিজিওথেরাপিস্ট কুনাল রায়, ফার্মাসিস্ট ওমর আলি, মোজাম্মেল হক, সইফুল ইসলাম, আবুল হোসেন নুরুল প্রমুখ।
এছাড়া স্বাস্থ্য শিবিরকে সার্থক করে তুলতে আরবিএসকে -র সোনাই, লক্ষীপুর, বিক্রমপুর ও জালালপুর ও বড়খলা স্বাস্থ্যখন্ডের খণ্ড সংযোজক, নার্স-রা নানাভাবে সহযোগিতা করেন।