হাইলাকান্দিতে এসএইচজি মহিলাদের পনির উৎপাদন দেখে সন্তোষ প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ মে : কেন্দ্রীয় গ্রাহক পরিক্রমা, খাদ্য ও গণ বণ্টন প্রতিমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বামভানিয়া হাইলাকান্দি জেলায় আত্মনির্মাণ নারী প্রকল্পে এসএইচজি মহিলাদের দ্বারা পনির উৎপাদন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মঙ্গলবার লালামুখ জিপি-র অধীন গাগলাছড়ায় এসএইচজি সংগঠনগুলির উদ্যোগে পনির উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করে মহিলাদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করার সময় মহিলাদেরকে স্বাবলম্বী মূলক প্রকল্পের সুযোগ নেবার আবেদন জানান। জেলা জীবিকা মিশন এর ব্যবস্থাপনায় জেলায় যে ছয়টি পনির উৎপাদন ইউনিট রয়েছে তার মধ্যে গাগলাছড়ায় তিনটি এবং মোহনপুরের বর্ণিব্রিজে তিনটি ইউনিট রয়েছে। মোট এই ছয়টি ইউনিটের মাধ্যমে ৬০ জন মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে এই প্রকল্পে। ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চালু ধলেশ্বরী ব্র্যান্ড নামক এই পনির প্রকল্পে প্রতিদিন ৬০০ কেজি উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বামভানিয়া দক্ষিণ হাইলাকান্দি ব্লকের সুলতানিছড়ায় ৮০ নং সুলতানি মডেল অঙ্গনাদি কেন্দ্র পরিদর্শন করে সেখানে আয়োজিত অভিভাবক এবং শিশুদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এতে তিনি জেলার শিশু এবং তাদের অভিভাবকদেরকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলির সুফল ভোগ করার আবেদন জানান। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দক্ষিণ হাইলাকান্দির ঘাড়মুরায় নতুন প্রাইমারি হ্যাল্থ সেন্টারটি পরিদর্শন করে ওই হাসপাতালে উপলব্ধ রোগিদের সব পরিষেবার মান খতিয়ে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বামভানিয়া এরপর মণিপুরের অলইছড়ায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ১০ বিঘা জমিতে পাম তৈল বীজ নার্সারি পরিদর্শন করে জেলার আন্তরাজ্য সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের একটি প্রকল্পের ফলে কৃষকদের আর্থিক মান উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এরপর লক্ষীনগরের অবস্থিত লক্ষীনগর বাগান মডেল হাইস্কুল পরিদর্শন করেন। ওই স্কুলে মন্ত্রী শিক্ষক অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে তিনি ছাত্রছাত্রীদের ড্রপ আউট ঠেকাতে অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং পড়ুয়াদের ডিজিটাল ক্লাসরুমের কথা উল্লেখ করেন। তিনি লক্ষীনগর মডেল হাইস্কুলে নির্মিত কিচেন সেড ও পুষ্টিকর ফলমূল সামগ্রির বাগান পরিদর্শন করেন।মঙ্গলবার এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুচিলায় কৃষি বিভাগের সোয়েল টেস্টিং ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রীকে জানানো হয় যে এই ল্যাবরেটারি থেকে ২৮ হাজারেরও বেশি মাটির নমুনা পরীক্ষা করে সোয়েল হেলথ কার্ড জেনারেট করা হয়েছে। মঙ্গলবার এরপর উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার আরও একটি প্রকল্প ভেটেনারি বিভাগের উদ্যোগে কুচিলায় নির্মিত একটি ভেটেনারি সাব সেন্টার পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

২৮ লক্ষ টাকার ব্যয়ে ভেটেনারি বিভাগের একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণের ফলে ওই এলাকার ২৩টি গ্রামের গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজনন, ভ্যাকসিনেশন এবং চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবারের জেলা সফরে জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে ও উচ্চপদস্থ শীর্ষ আধিকারিকরা ছিলেন।
