দু’মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে গ্যামণ সেতু, মেরামতির কাজ চলাকালীন বিকল্প ব্যবস্থার ঘোষণা মন্ত্রীর
অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ মে : বরাক উপত্যকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্যামণ সেতুটি ২১ মে থেকে আগামী দু’মাসের জন্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেতুটির জরুরি মেরামতি ও সংস্কারের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়। রবিবার পরিদর্শনের দিনই দুপুর তিনটা নাগাদ বরাক উপত্যকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাটিগড়া বদরপুর সংযোগী গ্যামণ সেতুতে ছুটে যান মন্ত্রী কৌশিক রায়। কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-র জেনারেল ম্যানেজার গৌরাঙ্গ দেওঘরেকে সঙ্গে নিয়ে সেতুটি পরিদর্শন করেন। এরপর কাটিগড়ার পূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব কান্তি পাল, মণ্ডল সভাপতি বিশালাক্ষ দেব, প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী সহ স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রায় এই ঘোষণা দেন।

মন্ত্রী কৌশিক রায় জানান, গ্যামণ সেতুর মেরামতি কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এই সময়কালে জনগণের কিছুটা অসুবিধা হলেও, সবার সহযোগিতায় কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সেতু বন্ধ থাকার সময়কালীন বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থার কথাও জানান মন্ত্রী। ৪০ টন পর্যন্ত ওজনের ভারি যানবাহন গুলির জন্য কালাইন-শিলচর সড়ক ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছোট যানবাহন টিআরকে সড়ক ব্যবহার করে শিলচরের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা যাবে। বদরপুর বা শ্রীভূমি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় গাড়ি চলাচলের কোনো পথ আপাতত না থাকায়, শুধুমাত্র পায়ে চলাচলের জন্য ফেরি সার্ভিস চালু থাকবে, তাই ফেরি সার্ভিস আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কোনো ধরনের বিঘ্ন যাতে না ঘটে, সেদিকে জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবাই ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে এই সময়টি অতিক্রম করবেন এবং সরকারি কাজে সহযোগিতা করবেন। প্রসঙ্গত, কাটিগড়া বদরপুর সংযোগী গ্যামণ সেতু দীর্ঘ কয়েকমাস থেকে বেহাল অবস্থায় আছে। জোড়াতালি দিয়ে সেতু মেরামত করায় বিপদজনক অবস্থায় যানবাহন চলাচল করছে। এনিয়ে বিভিন্ন দল সংগঠন সরব হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না। সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠলেও এবার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল রাজ্যের খাদ্য ও গণবণ্টন, খনি ও খনিজ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়কে, যা সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে।