গাজার স্কুল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর

২৭ মে : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযান প্রতিদিনই এক নতুন বিপর্যয়ের জন্ম দিচ্ছে। বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের উপর এভাবে আগ্রাসন চালিয়ে ইজরায়েল যুদ্ধের সব ধরনের মানবিক সীমা অতিক্রম করেছে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের সম্মতির খবরে কিছুটা আশার আলো দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

রবিবার রাতে গাজার আল-দারাজ এলাকার একটি স্কুল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। যার ফলে আগুনে পুড়ে মারা যায় কমপক্ষে ১৮টি শিশু, মোট প্রাণ হারিয়েছে ৩৬ জন। একই সময়ে গাজার উত্তরের শহর জাবালিয়াতে এক পরিবারের ওপর চালানো আরেক হামলায় নিহত হন সেই পরিবারের ১৯ সদস্য। ইজরায়েল এই হামলাগুলো চালায় “নিরাপত্তা রক্ষার” নামে, কিন্তু বাস্তবে তা রূপ নিচ্ছে এক নৃশংস গণহত্যায়। একই সময়ে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার ঘোষণা দেয়, যার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

গাজার ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলটি বেইত লাহিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছিল। সেই মানুষগুলোর বেশিরভাগই ছিল নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। কিন্তু এই স্কুলেই যেন নেমে আসে মৃত্যু। ইসরায়েলি বিমান থেকে ছোড়া বোমা মুহূর্তেই আগুনে পরিণত হয়। আগুনে পুড়ে যায় দুটি শ্রেণিকক্ষ, যা ঘুমানোর জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র জানান, এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। এমনকি দগ্ধ দেহগুলোর অনেকগুলোর পরিচয় শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।

গাজার স্কুল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর

Author

Spread the News