যৌতুকের বলি এক সন্তানের জননী, কুয়োয় ফেলে হত্যার অভিযোগে ধৃত স্বামী
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ জুন : যৌতুকের বলি এক গৃহবধূ। দাবিমতো টাকা দিতে না পারায় বাড়ির কুয়োয় ফেলে হত্যা করা হল এক সন্তানের জননীকে। এমন অভিযোগে লক্ষীপুর থানায় এক মামলা দায়ের হল। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহবধূর স্বামীকে পুলিশ শিলচর সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে লক্ষীপুর থানা এলাকার বিন্নাকান্দি খালকুড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। বিন্নাকান্দি খালকুড়ি গ্রামের প্রয়াত রামু গোয়ালার ছেলে রঞ্জিত গোয়ালা (৩২) ২০২২ সালে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন রিতু গোয়ালা নামের মহিলাকে। রিতু গোয়ালার বাবা রামপতি গোয়ালা, বাড়ি বাঁশকান্দি বাদ্রিবস্তির নাগাপুঞ্জিতে। রিতুর জ্যাঠা মতিলাল গোয়ালা জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রঞ্জিত যৌতুক দাবি করে প্রায়ই রিতু গোয়ালার উপর নির্যাতন চালায়। তিনি বলেন, প্রায়ই মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিত রিতুকে। বিচারসভা করে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে সমাধান করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তাদের। বর্তমানে শিশুটির বয়স দেড়বছর। কিন্তু স্বভাব বদলায়নি রঞ্জিতের। সে আবার ভিডিপি সেক্রেটারি এবং মন্ত্রী কৌশিক রায়ের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেক প্রভাব খাটায়। প্রায়ই হুমকি দিত সে রিতুকে মেরে ফেলবে, কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রঞ্জিত তার শ্বশুর রামপতি গোয়ালাকে ফোন করে জানায় রিতু গোয়ালা বাড়ির কুয়োয় পড়ে গেছে। স্থানীয় মানুষ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। রাতে তিনি গিয়ে দেখেন মৃত রিতু গোয়ালাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রামপতি, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে লক্ষীপুর থানায় জানান। লক্ষীপুর পুলিশ ঘুংগুর আউট পোস্টে জানায়। শুক্রবার রঞ্জিত গোয়ালা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিযুক্ত করে লক্ষীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন রামপতি।
শুক্রবার মৃতের স্বামী রঞ্জিত গোয়ালাকে মেহেরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে সমঝে দিয়েছে পুলিশ।
