বিমুখ গ্রুপ সদস্যদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ, সোনাই থানায় তীব্র প্রতিবাদ জনতার
বরাক তরঙ্গ, ১৬ মে : পঞ্চায়েত সভাপতি হতে ‘হর্সট্রেডিং’ শুরু হয়েছে বিভিন্ন জিপিতে। প্রতিটি জিপিতে সভাপতির দাবিদার দুইয়ের অধিক হওয়ায় বিভিন্ন কৌসল অবলম্বন করে শুরু করে গ্রুপ সদস্যরা। কেউ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আবার কেউ আত্মীয়ের দোহাই দিয়ে সভপতির আসন দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু পূর্ব সোনাইর স্বাধীনবাজার জিপিতে চাঞ্চল্যকর কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে এল। বিমুখ গ্রুপ সদস্যদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সোনাই থানায় এসে তীব্র প্রতিবাদ জানান। শুক্রবার পূর্ব সোনাইয়ের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা নিলীমা বেগম লস্করের নেতৃত্বে শতাধিক জনতা বিক্ষোভ থানায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ কোনও ধরনের লিখিত অভিযোগ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের দল রুবা বেগম ও তার স্বামী মকবুল হোসেন লস্করকে হেনস্তা করেন।
প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা নিলীমা বেগম লস্কর বলেন, এক দালালের ইশারায় পুলিশ নিরপরাধ গ্রুপ সদস্যা ও তার স্বামীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। সিআই ইস্ট আর, টুমুঙ প্রতিবাদী জনতাকে শান্ত করতে বিষয়টি তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের পর উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ তুলে নেন। সোনাই থানায় দালালরাজ বন্ধ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

জানা গেছে, জিপি ৩ নং গ্রুপের সদস্যা রুবা বেগম সভানেত্রী হওয়ার জন্য গ্রুপ সদস্যের সমর্থন আদায় করেছিলেন। আরেক দাবিদার গ্রুপ সদস্য নিরুপায় হয়ে রুবা বেগম ও তার স্বামী মকবুল হোসেন লস্করকে পুলিশ লেলিয়ে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।