উমরাংশু কাণ্ড : উদ্ধার আরও তিন শ্রমিকের দেহ

বরাক তরঙ্গ, ১১ জানুয়ারি : উমরাংশু তিনকিলো কালামাটি অসম কয়লা খনি থেকে আরও তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে এনডিআরএফ সেনাবাহিনী কোল ইন্ডিয়ার উদ্ধারকারী দল। ছয় দিনের মাথায় শনিবার কয়লা খনিতে আটকে পরা আরও তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এ দিন সকাল ৭-৩৬ মিনিট নাগাদ ভারতীয় সেনা এবং এনডিআরএফ-এর ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ডুবুরিরা স্থানীয় বাসিন্দা ২৭ বছরের লিগেন মগরের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এরপর আরও দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রমিকের নাম হচ্ছে যথাক্রমে কোকরাঝাড়ের ফকিরাগ্রাম থানার অন্তর্গত মাগেরগাঁওয়ের খুশি মোহন রায় (৫৭) ও শোণিতপুর জেলার শরৎ গয়ারি বলে শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে পাঁচটি পাম্পের সাহায্যে ঘণ্টায় ২,৬৬,৬৭০ লিটার জল নিষ্কশনের ফলে জলস্তর কমায় এক এক করে উমরাংসোর তিন কিলো কালামাটির প্লাবিত ‘১৯ নম্বর আসাম কয়লা কোয়ারি’ থেকে আবদ্ধ শ্রমিকদের উদ্ধার হচ্ছে। তবে জীবিত নয়, উদ্ধার হচ্ছে তাঁদের নিথর দেহ। এ নিয়ে মোট চারজন শ্রমিকের নিথর দেত উদ্ধার হয়। এখনও নিখোঁজ পাঁচজন। এর আগে নেপালের বাহাদুর ছেত্রী নামে এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়।

এদিকে, রাজ্যের খনি মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, শনিবার সকালে তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় এবং ১১টি পাম্পের সাহায্যে জল নিষ্কাশন করা হচ্ছে আসাম কয়লা খনি থেকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে কয়লা খনিতে এই বিপর্যয়ের পর ইতিমধ্যে অবৈধ কয়লা খননের অভিযোগে অভিযুক্ত পুনুস নুনিসাকে গ্রেফতার করে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী রায়। হানন লস্কর নামের একব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ৮ জানুয়ারি কয়লা খনিতে নেপাল উদয় নগরের বাসিন্দা গঙ্গা বাহাদুর শ্রেষ্ঠ নামের শ্রমিককে সেনাবাহিনী নৌ-সেনা ও এনডিআরএফ বাহিনী অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করার পর উমরাংশু কয়লা খনির বিপর্যয়ের

উমরাংশু কাণ্ড : উদ্ধার আরও তিন শ্রমিকের দেহ

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি উমরাংশু অসম কয়লা কোয়ারিতে খননের জন্য ৯ জন শ্রমিক কয়লা খনির ভেতরে প্রবেশ করে। তারপর কয়লা খনিতে দ্রতগতিতে কয়লা খনি জল ঢুকতে থাকে ওই সময় কিছু শ্রমিক প্রান বাঁচিয়ে কোনও রকম খনি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তবে ৯ জন শ্রমিক কয়লা খনির ভেতরে আটকা পরে। ৩০০ ফুট গভীর কয়লা খনিতে ১২৫ ফুট জল জমে যাওয়ার দরুন উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছিল উদ্ধারকারী দলের। ছবি সংগৃহিত।

Author

Spread the News